নিজস্ব প্রতিনিধি,মধ্যমগ্রাম: পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে দেহ বস্তাবন্দি করে খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। সোমবার রাতে মতির খাল এলাকায় দক্ষিণ জোজরা গ্রামে একটি বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম সায়রা বেনু(৪৫)। ঘটনাটি মধ্যমগ্রাম থানার(Madhyamgram P.S.) উত্তর জোজরা এলাকার। ঘটনা ঘটিয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী নুরুউদ্দিন মণ্ডল। বর্তমানে বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। নিহত গৃহবধূর মেয়ে মনি বিবি জানান, একটি জমিকে কেন্দ্র করে তার বাবা মা- র মধ্যে প্রায় অশান্তি হতো।
তার মা যখনই কোথাও যেতেন সঙ্গে টাকা পয়সার ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন দিয়ে যেতেন। তার মা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তার বাবা তার মায়ের পেটে তো মোবাইল ফোনটি(Mobile Phone) এনে সুইচ অফ করে দিতে বলেছিলেন। সেই মোবাইল ফোনটিতে রক্ত(Blood) লেগেছিল। তার বাবা তার মাকে খুন করা নিয়ে একেক জনকে একেক ধরনের বয়ান দিয়েছে। একবার বলে সে হাত থেকে চুরি কিনে এনে তার মাকে খুন করে বস্তায় ভরে রাবিশের গাড়িতে তুলে দিয়েছিল। আবার সানিয়া আইনজীবীকে বলেছে সে ঘরের মধ্যেই তাকে খুন করেছে। বর্তমানে নুর উদ্দিন মন্ডল হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ এই খুনে যে অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে তা উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। এই খুন নুরুদ্দিন একা পাঠিয়েছে নাকি তার সঙ্গে কেউ ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেদিন এই খুনের ঘটনা ঘটেছিল সেদিন নুরুদ্দিনের বাড়ির পাশে একটি মাঠে পিকনিক হচ্ছিল। সেই পিকনিকে থাকা কেউ খুনি জড়িত কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিহত গৃহবধুর মেয়ের। অভিযোগ নুরুদ্দিন নামে থাকার জন্য বিক্রি করতে চাইছিল কিন্তু তাতে বাঁধ সাধে তার স্ত্রী। একে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ও ঝগড়া লেগেই ছিল।
অন্যদিকে, মালদাতে(Malda) পাইপগান সহ একজনকে গ্রেপ্তার করল কালিয়াচক থানার পুলিশ। ধৃতর নাম খোকন মন্ডল। তার বাড়ি কালিয়াচক থানার(Kaliyachak P.S,) জালালপুরের জামিরঘাটা এলাকায়। সোমবার গভীর রাতে কালিয়াচক থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে জামিরঘাটা রোড থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃত খোকন মন্ডলর কাছ থেকে পাওয়া যায় একটি পাইপগান এবং এক রাউন্ড গুলি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই খোকন মন্ডলকে মঙ্গলবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করে তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।