নিজস্ব প্রতিনিধি: সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হল বকটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চলতি মাসের ৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ড থেকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল লালনকে। তাঁর ‘অস্বাভিক মৃত্যু’র ঘটনায় দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য।
এই নিয়ে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার সিবিআই হেফাজতে ছিলেন লালন। সেই হেফাজতের ৩ দিনের মাথাতেই মৃত্যু হল বকটুই (BAGTUI) কাণ্ডের মূল অভিযুক্তের। অথচ তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কোনও খবর ছিল না। প্রশ্ন, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকাকালীন কী করে মৃত্যু হল লালনের? সিবিআইয়ের রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকাকালীন মূল অভিযুক্তের এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৯ মাস ফেরার থাকার পরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন লালন। তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের অন্যতম ছায়াসঙ্গী ছিলেন লালন। গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হয়েছিলেন। আর তারপরেই ভাদু শেখের অনুগামীরা একের পর এক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১০ জনের। গত ২৩ মার্চ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে। তারপর গত ২৫ মার্চ এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।
তার আগে গত ২২ মার্চ রাজ্য সরকার সিট গঠন করেছিল। ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ২৭ জন।