নিজস্ব প্রতিনিধি: তৈরি হয়েছিল এক অদ্ভুত নেশা। সেটা হল মোবাইল ফোনে গেম খেলা। কিন্তু বাঁকুড়া সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামের ছাত্র সায়ন কর্মকার হয়তো বুঝতেই পারেনি এই গেমের জন্য তাকে অকালে চলে যেতে হবে। সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত তার ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকা-ডাকি করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এরপরও সাড়া-শব্দ না মেলায় বাড়ির লোকরা প্রতিবেশীদের খবর দেন। সকলে মিলে দরজা ভাঙতেই দেখা যায় সায়নের ঝুলন্ত দেহ। সবাই রীতিমতো চমকে ওঠে। দ্রুত খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে।
পরিবারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, সায়ন ছোট থেকেই বেশ মেধাবী ছাত্র ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে বেশ ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করেছিল সে। এরপর সর্বভারতীয় নীট পরীক্ষায়ও নজর কাড়া ফল করেছিল সায়ন। মেডিকেলে তার র্যাঙ্কিং হয়েছিল ৩৬ হাজার ৫১১। রাজ্যের তিনটি মেডিকেল কলেজ তথা মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং কোচবিহারে ডাক্তারি নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু মেডিকেল পড়া আর হল না। তার আগেই আত্মঘাতী হল সায়ন।
পরিবারের লোকেদের দাবি, সে কোনও মারণ মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। পুলিশ এই জানার পর সায়নের মোবাইলটি পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া এর আগেও ছেলের হাতে কাটা দাগ দেখেছিলেন তার বাবা। তখন খটকা লাগলে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নও করেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও উত্তর পাননি।