এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মোদি থেকে শাহ, বিজেপি থেকে ইডি-সিবিআই, মমতার নিশানায় সবাই

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জলপাইগুড়ি জেলার(Jalpaiguri District) ময়নাগুড়ির(Moynaguri) মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) নিশানা বানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে তাঁর নিশানায় চলে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah) থেকে শুরু করে বিজেপি এবং ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এজেন্সিগুলিও। এদের তো মমতা এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ময়নাগুড়ির সভা থেকে নিশানা বানিয়েইছেন, সেই সঙ্গে বাংলার যুবসমাজের কাছে আবেদন রেখেছেন বিজেপির হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য। বলেছেন, ‘ইয়ং জেনারেশনের কাছে আমি আবেদন করছি, বিজেপি দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এই দেশটাকে চেনো। দয়া করে দেশটাকে বাঁচাও। ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাও। মোদি-অমিত শাহর হাত থেকে দেশ বাঁচাও। ওরা চোর বললে আপনারা বলবেন অলিগলি মে শোর হ্যায়, বিজেপি চোর হ্যায়।’

এদিন মমতা ময়নাগুড়ির সভা থেকে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষরা বারবার বিজেপিকে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিচ্ছেন। আর ওরা দিল্লিতে গিয়ে টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে। বিজেপি ইডি, সিবিআই, এনআইএ-র ভয় দেখাচ্ছে আর সব বিজেপিতে যাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় চোর কারা। সবচেয়ে বড় চোর তো ওরাই। গরীব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। ১০০ দিনের টাকা লুঠ করছে। পিএম কেয়ার ফান্ডের নামে টাকা লুঠ করছে। খালি বলে কাজ নেই। বিজেপিতে কারা যাচ্ছে? যার অনেক টাকা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয়ে বিজেপিতে যাচ্ছে। তাই চোর ডাকাতদের বিজেপি ছাড়া গতি নেই। পকেটমাররা কী করে? নিজেরা প্রথমে চিৎকার করে পকেটমার বলে। তারপর লোকজন যখন হকচকিয়ে যায় সেই সময় পালিয়ে যায়। বিজেপি হল পকেটমারের দল। সবচেয়ে বড় চোরের দল। দিল্লিতে বিজেপি সাংসদরা কেউ বলে না আমাদের টাকা দাও। উল্টে বলে টাকা দেবেন না। একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দাও, সব বন্ধ করে দিন। আমি বলছি বিজেপি-কে বন্ধ করে দিন। যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে। আপনার অধিকার কাড়তে না পারে। বিজেপি আর ইডি-সিবিআই ভাই ভাই,কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররাও বলছে বিজেপি করো।’

এর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোচবিহারে এলেন মিটিং করতে। কই জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ির মানুষের দুঃখের কথা তো বললেন না। সারা বছর দেখা যায় না। ভোটের সময় ভোট পাখিরা উড়ে আসে। আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে কি না তার জন্য কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছ। যা যা উত্তর চেয়েছে সব দিয়েছি। একটা কথাও বলতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৩ বার দেখা করলাম। উনি বললেন আমার সরকার তোমার সরকারের সঙ্গে কথা বলে বসে বিষয়টি সুরাহা করবে। তারপর কোথায় গেল? শিখিয়ে দিল, ওরা চুরি করেছে তাই দিইনি। সব থেকে বড় চোর ওরা। কৃষকদের আমি ভাতা দিই। চা বাগান একটাও খুলল না। আমরা ৫৯টা চা বাগান খুললাম। আমরা উদবাস্তুদের পাট্টা দিই। আমার প্রায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ মায়েরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পায়, কন্যাশ্রী প্রায় ১ কোটি মেয়েরা, শিক্ষাশ্রী প্রায় ৮৫ লক্ষ ছেলেমেয়ে, স্মার্ট কার্ড পায় অনেকে, ক্লাস নাইনে যারা ওঠে তারা সাইকেল পায়। স্কুলের ড্রেস আমাদের তাঁতিরা তৈরি করে। আমার আগে উত্তরবঙ্গে এত কেউ আসত? আলিপুরদুয়ার নতুন জায়গা কে করেছে? আপনারা মাল মহকুমা চেয়েছেন। করেছি। বানারহাট নতুন ব্লক চেয়েছেন, করে দিয়েছি। আমরা সব পজিটিভ করে দিয়েছি। কোচবিহার, মালদহ, বালুরঘাট হচ্ছে বিমানবন্দর। আমরা করেছি। কত হোটেল কত হোমস্টে করেছি। চারিদিকে শুধু আলো আর আলো। তাই যুব শক্তি আমি আবারও আবেদন করছি দেশকে বাঁচাও।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

এবার দু ‘লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব নির্বাচনে : কাকলি ঘোষ দস্তিদার

‘সিপিএম কিনলে কংগ্রেস ফ্রি, কংগ্রেস কিনলে সিপিএম ফ্রি’, দাবি মমতার

‘মানুষ কাঁদছে, বিজেপি হারছে, বুক দুরুদুরু করছে’, দাবি মমতার

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর