নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্রিগেডের মাঠে মানুষের জনগর্জন বলে দিয়েছে, ২৪’র ভোট(General Election 2024) বেশ চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে বিরোধীদের কাছে। কার্যত ৪২-এ-৪২’র লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামছে টিম তৃণমূল(TMC)। আর সেই সভার পরে পরেই আরও একদফা জেলা সফরে বার হচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আগামিকাল অর্থাৎ ১২ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়াতে থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। সেই সভা শেষ করেই তিনি রওয়ানা দেবেন উত্তরবঙ্গের(North Bengal) পথে। কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরা গিয়ে সেখান থেকে সোজা চলে যাবেন উত্তরকন্যায়। সেখানেই তাঁর রাত্রিবাস। পরেরদিন অর্থাৎ ১৩ মার্চ তাঁর প্রশাসনিক সভা থাকছে শিলিগুড়ির(Silliguri) কান ঘেঁষে থাকা ফুলবাড়িতে। সেখানকার ভিডিওকন মাঠেই হবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা(Administrative Meeting) । সেই সভা থেকেই তিনি কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার পাশাপাশি আমজনতার হাতে পরিষেবা পৌঁছে দেবেন। তবে এই সভা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে রাজনৈতিক কারণে।
কেননা এক তো কিছুদিন আগে এই শিলিগুড়ির বুকেই সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সভা থেকে তিনি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে নিশানা বানিয়েছেন। চা বাগান থেকে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলন, শিল্পহীন উত্তরবঙ্গ নিয়ে জোড়াফুলকে বিঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সভার পাল্টা সভাই কার্যত করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যে সব বিষয় নিয়ে মুখ খুলে খোঁচা দিয়েছেন সেই সব বিষয়ে মমতা কী বলেন ফুলবাড়ি থেকে সেই বিষয়ে সকলেই তাকিয়ে থাকবেন। একই সঙ্গে ব্রিগেডের জনগর্জন সভার পরেই এই ফুলবাড়ির সভাই হতে চলেছে উত্তরবঙ্গে মমতার প্রথম জনসভা। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মমতা আমজনতা ও দলকে কোন বার্তা দেন সেই দিকেও তাকিয়ে থাকবেন সকলে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থীদের মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় থাকতে দেখা যেতে পারে। এমনকি সেই সভা থেকে কিছু ফুল বদলের ঘটনাও ঘটতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।