নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকারের আরও এক মানবিক প্রশংসিত পদক্ষেপ সামনে এল। নিজস্ব জমি না থাকায় বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন বহু মানুষ। রাজ্যের এরকম ১৪ হাজারের বেশি ভূমিহীন নাগরিককে(Landless People) এবার জমি দিল রাজ্য সরকার। এর ফলে তাঁরাও এবার বাংলা আবাস যোজনায়(Bangla Awas Yojna) বাড়ি নির্মাণের টাকা পাবেন। জেলাগুলি থেকে যে হিসেব এসেছিল, তাতে সব মিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজার নাগরিকের নিজস্ব জমি না থাকার কথা বলা হয়। এরপর রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর থেকে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে সিংহভাগ বাসিন্দাকে জমি দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। এর ফলে রাজ্যের ১১টি জেলায় বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের উপযুক্ত কিন্তু ভূমিহীন কেউ রইল না বলে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে। সব থেকে বড় কথা কেন্দ্র সরকার যখন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার(Pradhanmantri Awas Yojna) বরাদ্দ বাংলার জন্য আটকে দিয়েছে তখন মমতার সরকার বাংলার ভূমিহীন মানুষদের হাতে জমি তুলে দিচ্ছেন তাঁদের মাথার ওপর পাকা ছাদ গড়ে তোলার জন্য।
নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের কোনও জেলায় প্রায় ৩ হাজার, কোথাও আড়াই হাজার, কোথাও বা ১ হাজার এমন ভূমিহীন উপভোক্তার খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু তাঁদের নিজস্ব জমি না থাকায় বাংলা আবাস প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রকল্পের সুযোগ তাঁদের হাতে তুলে দিতে পারছিল না রাজ্য সরকার। তার জেরে ওই সব মানুষদের বাড়ি কীভাবে হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল খোদ প্রশাসনের অন্দরেই। কেন্দ্র থেকেও এ বিষয়ে নবান্নকে জানানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের তৎপরতায় সেই সমস্যার সমাধান হল। বর্তমানে আর ১৫০০ জনকে এই ভূমি প্রদানের প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই জমি পাওয়ার সুবিধা পেয়েছেন এমন মানুষদের সর্বাধিক সংখ্যা পূর্ব মেদিনীপুরে(Purba Midnapur), ৪৪১ জন। এরপরে একে একে রয়েছে হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলি। ওই সব জেলায় সব ভূমিহীন উপভোক্তাকে জমি প্রদান করা হয়ে গিয়েছে। আধিকারিকরা বলেন, কোনও উপভোক্তারা যাতে কোনও রকমভাবে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য সবরকম সাহায্য করা হয়েছে। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু বাড়ি তৈরি বাকি রয়েছে।