নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ বললেও কম বলা হয়। কেননা মধ্যরাতে তিনি কখনও কোনও বার্তা দেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) কিছু জানানোর থাকলে সকাল থেকে রাতের মধ্যেই তা তিনি জানিয়ে দেন। সেই জায়গায় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই বার্তা দিলেন মধ্যরাতে, যা সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সোমবার মধ্যরাতে ফেসবুকে(Facebook) বার্তা দিয়েছেন রাজ্যবাসীর পাশাপাশি তামাম দেশবাসীকেও। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই বার্তা তো বিকালে বা সন্ধ্যায় বা রাতেও দেওয়া যেত। মধ্যরাতকেই কেন বেছে নিলেন মমতা?
আরও পড়ুন কেন্দ্র থেকে রাজ্যের বকেয়া এনে দিলে আরও ৩ শতাংশ DA, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজ, আমি নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছি। সেখানে কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ করেছি। ওই বিষয়গুলিতে আমার দ্রুত মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন ছিল। বাংলার মানুষ আমার সম্পদ। আমি সর্বদা তাঁদের ভাল থাকাকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। তাঁদের প্রয়োজন মতো কাজ করার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও এ কাজের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে চাই। মানুষ যাতে তার জীবনযাপনের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখব বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার কারণে আমাদের রাজ্যের মানুষ সীমাহীন কষ্ট পাচ্ছেন। কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে নিরপরাধ মানুষ দুর্দশার সম্মুখীন হতে বাধ্য হচ্ছে। সবাইকে আশ্বস্ত করছি, জয়ী না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। জয় বাংলা।’
আরও পড়ুন মোদি-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আবারও বার্তা মমতার
এবার আশা যাক কেন তিনি মধ্যরাতকে বেছে নিলেন! ভুললে চলবে না মধ্যরাত থেকেই নতুন দিনের তারিখ শুরু হয়ে যায়। ভুললে চলবে না দেশ(India) স্বাধীন হয়েছিল মধ্যরাতেই। মমতা যেন নতুন করে সেই স্বাধীনতার স্বপ্নটাই দেশবাসীর সামনে তুলে ধরলেন। স্বাধীনতা বিজেপির(BJP) নাগপাশ থেকে। স্বাধীনতা মানুষ মারার ধর্মীয় এজেন্ডা থেকে। স্বাধীনতা ধর্মীয় ও সামাজিক বিদ্বেষ থেকে। স্বাধীনতা ধর্মের নামে, জাতের নামে, ভাষার নামে বাংলা থেকে দেশকে টুকরো টুকরো করার ভয়াল ষড়যন্ত্র থেকে। স্বাধীনতা মিডিয়া ও বাকস্বাধীনতার ওপর নেমে আসা স্বৈরচারী শাসকের নিদান থেকে। কর্ণাটকের ফলাফল কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে দেশে দিন বদলের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। মধ্যরাতে সেই দিন বদলের প্রতিশ্রুতিই আমজনতাকে দিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা।