নিজস্ব প্রতিনিধি: নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে রাজ্যের মহার্ঘ্য ভাতার(DA) দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employees) বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই বার্তা বেশ কড়া বার্তাই। একদিকে তিনি যেমন তাঁদের বিদ্ধ করেছেন, ৩৬ হাজার মানুষের চাকরি চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে তেমনি তাঁদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে জানিয়েছেন কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের যে লক্ষাধিক কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে তা এনে দিতে পারলে আরও ৩ শতাংশ অতিরিক্ত মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। সেটি রাজ্য সরকারের ঐচ্ছিক বিষয়।
আরও পড়ুন দেশে এগিয়ে বাংলা, নজরে One Station, One Product
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবান্ন(Nabanna) থেকে কার্যত মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে আন্দোলনকারীদের একহাত নিয়েছেন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬ হাজার মানুষের চাকরি কাড়ার রায় দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে রাজ্যের সে সব সরকারি কর্মচারীরাভ আন্দোলন করছেন, মিটিং মিছিল করছেন তাঁদের জন্যই এই ৩৬ হাজার মানুষের চাকরি চলে গিয়েছে। এই আন্দোলনকারীদের জন্যই রাজ্যের ২ লক্ষ পরিবারের মুখে ভাত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিত্যদিন অফিসটাইমে মিটিং মিছিল করা হচ্ছে। এটা কী সার্ভিস ব্রেক নয়?’ তার পরেই তিনি বলেন, ‘যারা মিটিং মিছিল করছে তাঁরা রাজ্যের বকেয়া নিয়ে কোনওদিন একটাও শব্দ খরচ করছে না। কেন্দ্রের থেকে বাংলার বকেয়ার পরিমাণ ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। সেই বকেয়া এনে দিক, আরও ৩ শতাংশ ডিএ দিয়ে দেব। ডিএ দেওয়া রাজ্যের আবশ্যিক নয়, ঐচ্ছিক। টাকা থাকলে ভালবেসেই দিতাম।’
আরও পড়ুন Jobcard Holders-দের বিকল্প কাজ দিতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ দাবি করে যাচ্ছেন যে তাঁদের কেন্দ্রের হারে মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে। আবার একই সঙ্গে এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা চলছে। বাংলার বুকে আবার আন্দোলনও চলছে। কিন্তু সেই আন্দোলন এখন অনেকটাই রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন কার্যত তৃণমূল বিরোধী, রাজ্য বিরোধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে যেখানে নিত্যদিন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা এসে গরমাগরম ভাষণ দিচ্ছেন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা আদালতের নির্দেশকেও সেভাবে মানছেন না। কর্মবিরতি সরাসরি না ডেকেও নিত্যদিন অফিস টাইমে ডিএ’র দাবিতে মিটিং মিছিল করছেন।