এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কিষাণ মাণ্ডিতে ধান কেনায় বিস্তর অনিয়ম, ক্ষিপ্ত মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম জমানা থেকেই রাজ্যের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। মূল অভিযোগ মধ্যসত্ত্বভোগী আড়তদারদের বিরুদ্ধে। এরা কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান থেকে শুরু করে শাকসবজি কিনা তা বাজারে চড়া দরে বিক্রি করে। ফলে খোলাবাজারে যারা চাল থেকে শাকসবজি বিক্রি করেন তাঁরা আরও বেশি দরে আমজনতার কাছে তা বিক্রি করেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী একদিকে যেমন প্রতি বছর সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য সরকারি দামের কথা ঘোষণা করে দেন, যা বাজারদরের থেকে কিছুটা বেশি থাকে। তেমনি কৃষকেরা যাতে সরাসরি তাঁদের উৎপাদিত ফসল আমজনতাকে বিক্রি করতে পারে তার জন্য জায়গায় জায়গায় কিষান মান্ডিও(Kishan Mandi) তৈরি করে দিয়েছেন। কিন্তু বাঁকুড়া জেলায় সেই ধান কেনা নিয়ে ও মান্ডিগুলিতে দুর্নীতি নিয়েই মঙ্গলবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন বাঁকুড়ার(Bankura) প্রশাসনিক বৈঠক(Administrative Meeting) থেকে এই দুই ক্ষেত্রেই তিনি দিলেন নির্দেশ।

মঙ্গলবারের প্রশাসনিক বৈঠকে কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনা নিয়ে কৃষকদেরকে কী ভাবে ঘোরানো হচ্ছে, মেশিনে কারসাজি করে কী ভাবে কুইন্টাল কুইন্টাল ধান এদিক ওদিক করে দেওয়া হচ্ছে—তা একেবারে তথ্য সহকারে হাজির করেন মমতা। কোথাও চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে না তো কোথাও আবার ওজনের যন্ত্র গরমিল করে রাখা রয়েছে। ফলে হয় ধানচাষীরা বাধ্য হচ্ছেন সরকারের ঘোষিত দামের কমে আড়তদার কাছে তাঁদের ধান বিক্রি করতে, তো কোথাও মান্ডিতে ধান বিক্রি করে অনেক কম টাকা পাচ্ছেন। এমনই সব অভিযোগ জমা পড়েছিল নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে। অভিযোগের তীর সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। সেই গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভায় এদিন কার্যত হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন মমতা। একাধারে যেমন সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। তেমনই আবার গরমিল রুখতে একাধিক নির্দেশিকাও দিলেন।  

মঙ্গলবারের প্রশাসনিক সভা চলাকালীন পরপর তিনটি অভিযোগের উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাতনা, হিরবাঁধের পায়রাচালি গ্রাম এবং বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ গ্রামের কিষান মান্ডি নিয়ে অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কিনছেন না কিষান মান্ডির আধিকারিকরা। বারবার ধান নিয়ে গেলেও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ ওঠে ধানের ওজনে গরমিল নিয়েও। দেখা যায়, কিষান মান্ডির ওজন পরিমাপক মেশিনে সমস্যা থাকছে। ফলে বেশি ধান বিক্রি করেও কম টাকা পাচ্ছেন চাষিরা। এর পরই কিষান মান্ডির দায়িত্বে থাকা জেলার খাদ্য ও খাদ্য বন্টন দফতরের আধিকারিককে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিষান মান্ডির দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক শেখ আলিমুদ্দিন অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করে নেন। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীকে সাফাই দেওয়ার চেষ্টাও করেন তিনি। তবে কাজ হয়নি। কিষান মান্ডির দায়িত্বে থাকা অভিযুক্ত আধিকারকিরা কেন এখনও চাকরি করছেন, কেন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর পরই বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার, খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক এবং বিডিওদের উদ্দেশে একগুচ্ছ নির্দেশিকাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কিষান মান্ডিতে সিসিটিভি লাগাতে হবে। সেগুলো সচল থাকছে কিনা তার দিকেও নজর রাখতে হবে। ধান বিক্রির মেশিনগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে কলকাতা থেকে সার্টিফাই করিয়ে আনতে হবে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ জমা করতে হবে ব্লক সহায়তা কেন্দ্রে। ৭ দিন অন্তর সেই অভিযোগ সংগ্রহ করবেন বিডিও বা জেলাশাসকরা। প্রয়োজনে সারপ্রাইজ ভিজিট করবেন তাঁরা।’ সেই সঙ্গে রাখতে হবে ৩টি রঙের খাতা। যার মধ্যে লাল খাতায় লেখা থাকবে কোন কৃষক ধান বিক্রি করতে এসেও বিক্রি করতে পারেননি তাঁর নাম ধাম এবং কবে তাঁর কাছ থেকে ধান কেনা যাবে তার যাবতীয় তথ্য। সবুজ খাতায় লিখতে হবে কবে কার কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে, কতটা ধান কেনা হয়েছে, তার জন্য কত টাকা তাঁকে দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য। এছাড়াও থাকবে হলুদ খাতা যেখানে যাবতীয় অভাব অভিযোগ লিপিবদ্ধ হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দীর্ঘ ১৩ মাস পর মুর্শিদাবাদে নিজের বাড়িতে ফিরলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা

মানিকচকের মথুরাপুর হাটে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ত্রাণের ত্রিপল, তদন্তের নির্দেশ জেলা শাসকের

বনগাঁতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে ৫৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামল

দুর্গাপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করল বাইক চুরি চক্রের পান্ডাকে, উদ্ধার ৬’টি মোটরসাইকেল

শান্তি আর উন্নয়নের স্বার্থে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এবার পার্থ’র পাশে

কালিয়াচকে শৌচাগারের পরিত্যক্ত ট্যাংকিতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় চাঞ্চল্য

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর