এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

থাপ্পড়ের পরে এবার কানমোলার দাওয়াই দিলেন মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: থাপ্পড়ের পর এবার সরকারি কর্মীদের কানমোলার(Ear Rub) দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। জেলা সফরে গিয়ে গতকাল পুরুলিয়াতে প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চেই জেলা শাসককে কার্যত দাঁড় করিয়ে জেলার দুর্নীতিপরায়ণ সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘আমার দলের লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম’। সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বাঁকুড়ায়(Bankura)। মঙ্গলবার পুরুলিয়া শহরে কর্মীসভা সেরেই মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে চলে আসেন বাঁকুড়ায়। সেখানে তিনি শহরের রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে(Administrative Meeting)  যোগ দেন। আর সেই বৈঠকেই বহু পুরাতন কাজ এখনও রূপায়িত না হওয়ার জন্য সরকারি কর্মীদের(Government Employees) একাংশের বিরুদ্ধে অগ্নিশর্মা হলেন। মঞ্চে বসেই তাই ক্ষোভের সুরে জানিয়ে দিলেন, ‘তোমাদের কানমোলা খাওয়া উচিত।’

এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে বসার আগেই অনেকতাই হোমওয়ার্ক করে এসে ছিলেন মমতা। কার্যত তাঁর কাছে জেলার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বাকি থাকার অভিযোগও এসেছিল বিস্তর। সেই সব প্রকল্পের কথা এদিন নিজে থেকেই তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সবার সামনেই সেই সব প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরেন জেলা প্রশাসনের সামনে। তাঁদের দিকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘৮ বছর ধরে জলপ্রকল্পের কাজ পড়ে রয়েছে কেন? অনেকগুলো স্টেডিয়ামের কাজ বাকি পড়ে রয়েছে। কেন কাজ শেষ হয়নি? তোমাদের তো কান মূলে দেওয়া উচিত। ৪-৫ বছর ধরে অনেক কাজ পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেই কাজ শেষ করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের একাংশ কাজ করবে না। মানুষকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে তোমরা। আর বদনাম হবে রাজ্য সরকারের। লোকে বলবে তৃণমূল কোনও কাজ করছে না। আট বছর এই প্রকল্পটা পড়ে রয়েছে। ২১.২০ কোটি টাকার প্রকল্প। ২০১৪ সালে এই প্রকল্পটা ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু আপনারা আমাকে দেখাচ্ছেন, প্রজেক্ট আন্ডার প্রগ্রেস। যে ডিপার্টমেন্ট এটা করছে তার তো কানমলা খাওয়া উচিত সবার কাছে। পিএইচইকে বলতে পারো না এটা করতে!’ উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী যে জলপ্রকল্পটি নিয়ে জেলা প্রশাসনকে চেপে ধরেন সেটি জেলার রায়পুর ব্লকে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী এমন বেশ কিছু প্রকল্পের কথা প্রশাসনিক বৈঠকে তুলে ধরেন যার কোনওটি ঘোষণা হয়েছিল ২০১৬ সালে, ছ’বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও শেষ হয়নি। কোনওটি আবার ২০১৮ সালে তিনি নিজে হাতে শুরু করেছিলেন, সেই প্রকল্পের রিপোর্টে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে নবান্নকে জানানো হয়েছিল—‘ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস।’ ২০১৭ সালে ঠিক হয়েছিল মুকুটমণিপুরে সাংস্কৃতিক ভবন হবে। এখনও তা মাথা তোলেনি। মঙ্গলবার এই রকম অসংখ্য কাজ নিয়ে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত এদিনের ঘটনায় এটা প্রমাণিত হল যে, কোভিড ও লকডাউনজনিত অর্থনৈতিক টানাটানির মধ্যেও রাজ্য সরকার মানুষের জন্য গুচ্ছ গুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, প্রকল্প নিয়েছে—কিন্তুসরকারি কর্মচারীদের একাংশের গয়ংগচ্ছ মনোভাবের জন্য মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদের 

বাড়ছে উদ্বেগ, বঙ্গে করোনার নতুন প্রজাতিতে আক্রান্ত ৩০

মিতালীকে সামনে রেখেই আরামবাগ জয়ের ছক তৃণমূলের

ভোটের আগে এগরা থেকে উদ্ধার হাঁড়ি ভর্তি বোমা, এলাকায় চাঞ্চল্য

চোরাশিকারিদের হামলায় সুন্দরবনে মৃত্যু বন রক্ষীর

হান্নানের উলুবেড়িয়ায় এখন সুলতান-সাজদার লড়াই, জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা মাত্র

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর