এই মুহূর্তে




মানিকচকে SIR আতঙ্ক,গায়েব ৮০০ জনের নাম, ২০০২ সালের ভোটার তালিকা থেকে

নিজস্ব প্রতিনিধি, মানিকচক: গায়েব ৮০০জনের নাম। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই ৮০০জন ভোটারের নাম। আর যা ঘিরে গোটা গ্রাম জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।মালদার মানিকচকের(Manickchak) ধরমপুর পঞ্চায়েতের ৯৬ নম্বর বুথের ছবি এমনই। অথচ রয়েছে তাদের ভোটার কার্ড।পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা সব ভোটেই ভোট দিয়েছেন তারা। এসআইআর ঘোষনা হতে ২০০২সালের ভোটার তালিকা খোঁজ করতেই চক্ষুচড়কগাছ তাদের ।নাম নেই তালিকায়। এই অবস্থায় কী করবেন কোথায় যাবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।ফলে দুঃশ্চিন্তা ও আতঙ্কে রয়েছেন ধরমপুরের প্রায় ৮০০জন বাসিন্দা। অপেক্ষা এখন দিয়ে বিএলওদের(BLO) ওই গ্রামে আসার। অন্যদিকে,নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় প্রতিটি বুথে দায়িত্বে থাকা বি এল ও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম (Form)দেবেন । আর তার ঠিক আগে এক অভিযোগ উঠল কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের বীরনগর(Birnagar) ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগুনতোলা ২৬ নম্বর বুথ লেভেল অফিসার তথা তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পদে থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক ক্ষমতা অপব্যবহার করে বিরোধী দলের সদস্যের পরিবারের একজনের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ ।

মালদহের কালিয়াচক(Kaliyachak) তিন নম্বর ব্লকের এই ঘটনায় শোরগোল ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত কেনারাম মন্ডল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও ২৬ নম্বর বুথের বি এল ও পদে নিযুক্ত । ইতিমধ্যেই তাঁকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে কালিয়াচক-৩-এর বিডিও এবং মালদহের জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ মন্ডল। অভিযোগের পর থেকেই কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লক প্রশাসন ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।অভিযোগকারী নরেন্দ্রনাথ মন্ডল বীরনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগুনটোলার বাসিন্দা। নরেন্দ্রনাথ মন্ডলের দাবি, তিনি বিরোধী দল করায় রাজনৈতিক আক্রোশেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।তাঁর লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, সম্প্রতি তিনি কেনারাম মন্ডলের কাছে ভোটার তালিকার বিষয়ে জানতে চান। সেই সময় কেনারাম মন্ডল তাঁকে রগরগে ভঙ্গিতে বলেন, এবার তোমার বৌমার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ে যাবে।” কেন নাম বাদ দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়েই চলে যান বলে অভিযোগ।

অভিযোগকারী নরেন্দ্রনাথ মন্ডল(Narendranath Mandal) আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কেনারাম তাঁর রাজনৈতিক পদের অপব্যবহার করে শুধু তাঁর পরিবারেরই নয়, ব্লক এলাকার অন্যান্য বিরোধী দলের সদস্যদের নামও আসন্ন এস‌আইআরএর প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।এই গুরুতর আশঙ্কার কারণেই তিনি অবিলম্বে তৃণমূল নেতা কেনারাম মন্ডলকে ওই বুথের বিএলওর পদ থেকে বরখাস্ত করে নিরপেক্ষ অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।যদিও তৃণমূলের নেতা কেনারাম মন্ডল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমি তৃণমূল করি বলেই আমার নামে এই ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। নরেন্দ্রনাথ মন্ডলের সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কোনো কথাই হয়নি। তারপরও আমার নামে অভিযোগ করা হয়েছে। স্পষ্টতই এটা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে।এদিকে, এই অভিযোগ জমা পড়ার পর নড়েচড়ে বসেছে কালিয়াচক-৩- ব্লক প্রশাসন। জানিয়েছেন, অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর দক্ষিণ মালদা বিজেপি সহ-সভাপতি তারক ঘোষ , জানান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যারা বি এল ও হয়েছে তারা যদি ভোটারদেরকে বিভ্রান্ত করে , এদের BLO এর তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোনাগাছির যৌনকর্মীরা কার্তিক পুজোয় মেতে উঠলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে

বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে

হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যাওয়া সদ্যোজাত শিশুকে ভাঙড় থেকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ, গ্রেফতার ২

জগদ্দলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির পদ পাইয়ে দিতে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ RSS নেতার বিরুদ্ধে

অপরিচিতার কাছে শিশু পুত্রকে রেখে ওষুধ কিনতে যান মা, সদ্যোজাতকে নিয়ে উধাও যুবতী

রাজ্য ও ভিন রাজ্যের কয়েকশো বাংলাদেশি হাকিমপুর সীমান্তের পথে, আটক করল বিএসএফ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ