নিজস্ব প্রতিনিধি: ইডির দফতরে শেখ শাহজাহানের আইনজীবী রবিবার গিয়েছিলেন সকাল দশটা নাগাদ। সোমবার আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আইনের দ্বারস্থ হবেন শেখ শাহজাহান ,রবিবার জানান সন্দেশখালির বিধায়ক। তিনি আরোও বলেন, কিছু আইনি জটিলতা আছে বলে তিনি সামনে আসছেন না ।দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মানুষ নন শেখ শাহজাহান। এমনটাই দাবি সন্দেশখালির বিধায়কের(MLA Sandeshkhali)। তার পাল্টা অভিযোগ, শুক্রবার সাত সকালে বিনা নোটিশে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে এসে তালা ভাঙতে গিয়েছিল ইডি ।ভেবেছিল গুন্ডারা এসেছে ।তাই মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে।
ইডি(ED) নোটিশ দিলে তদন্ত সাহায্য করবে শেখ শাহাজান বলে জানান সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো । এদিকে রবিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে শুক্রবারের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা ছিল তা নিয়ে বিস্তারিত জানান বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের প্রধান। রবিবার সকালে রাজু ভবনে গিয়ে রাজ্যপাল আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে তার হস্তক্ষেপ দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সোমবার আদালত খুললে রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে ইডি এমনটাই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রমণের ঘটনায় ইডি এবং পুলিশ পরস্পর অভিযোগ দায়ের করেছে। ফলে একটি ব্যাপার নিশ্চিত যে সন্দেশখালির ঘটনা হাইকোর্টের দোরগোড়ায় গড়াচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, শনিবার গোপন দেয়া থেকে শেখ শাহজাহান সন্দেশখালির(Sandeshkhali) দলীয় নেতা -কর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে অডিও বার্তা দিয়েছিলেন। সেই অডিও বার্তাতে তিনি কোন অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছিলেন। এখন দেখার বিষয় সোমবার আদালত সন্দেশখালির ঘটনায় শেখ শাহজাহানকে নিয়ে পরবর্তী কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কারণ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির দাবি আদালতের নির্দেশ মতোই তারা সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সেখানে গিয়ে তারা আক্রান্ত হন। তিনজন বিডি অফিসার গুরুতর আহত হন। আহত তিনজন বিডি অফিসারের মধ্যে দুজনকে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শনিবার সন্ধ্যায় ছেড়ে দিলেও একজন অফিসার এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।