এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সিঙ্গুরে মমতাই ঠিক, বুঝিয়ে দিলেন নরেন্দ্র, ধাক্কা বামেদের

নিজস্ব প্রতিনিধি: সিঙ্গুরের(Singur) জমি আন্দোলনকে হাতিয়ার করে বাংলার বুকে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন বাংলার অগ্নিকন্যা তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কিন্তু বামেরা এখনও তাঁকে বিধেঁ চলেছেন শিল্পবিরোধী বলে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দিয়েছে সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতিই ভুল ছিল। শুধু তাই নয়, মমতা ও তৃণমূলের(TMC) যে দাবি ছিল, অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার, সেখানেও সায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অথচ বাংলার কিছু গোঁড়া বামপন্থী এখনও নিত্যদিন সিঙ্গুর থেকে টাটাদের চলে যাওয়ার জন্য মমতাকে গালিগালাজ করেন। কিন্তু সিঙ্গুরে মমতার সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ যে ভুল ছিল না সেটা এবার প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) সরকারের কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার(Narendra Singh Tomar)। কার্যত তিনি মমতার পাশেই দাঁড়িয়েছেন সিঙ্গুর ইস্যুতে। বিঁধেছেন বামেদের। আর সেটাও এমন একটা সময় যখন বাংলার বুকে রামেদের ভোট আবার বামেদের কাছে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করে গিয়েছেন অমিত শাহও।

আরও পড়ুন জিতলেন মমতাই, শাহী বৈঠকের পরে আধার নিয়ে পদক্ষেপ কেন্দ্রের

ঠিক কী নিয়ে টোমার ঠিক কী বলেছেন? কেন্দ্রের তথ্য বলছে দেশজুড়ে বিশেষ করে মোদি জমানায় কমে চলেছে কৃষিজমির পরিমাণ। ফলে চাষের পরিমাণ কমছে ও দেশে খাদ্যদ্রব্যের সঙ্কটের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তার জেরে কেন্দ্র সরকারকেও বিদেশের বাজার থেকে নানান সময়ে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। আবার কখনও দেশের বুকে জোগান বাড়াতে খাদ্যপণ্যের রফতানি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তার জেরে বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডার যেমন কমছে তেমনি দ্রব্যমূল্যের হারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই অবস্থায় মোদি সরকার সম্প্রতি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। যথেষ্ট খাদ্যশস্য মজুত আছে। খাদ্য সঙ্কটের কোনও আশঙ্কা নেই। কিন্তু এই বিবৃতিতে যে চোখ বুজে কেউ শান্তিতে বসে থাকতে পারবেন না সেটাই উঠে আসছে মোদি সরকারেরই তুলে ধরা ভিন্ন একটি তথ্যে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১৪ সালে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে ইউপিএ সরকার ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার সময় দেশের আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ১৮ লক্ষ ২৯ হাজার হেক্টর। আর এখন তা হয়েছে ১৮ কোটি ৮ লক্ষ ৮৮ হাজার হেক্টর। অর্থাৎ কমেছে ৯ লক্ষ ৪১ হাজার হেক্টর জমি। আর এই কৃষিজমি কমে যাওয়ার নেপথ্যেই রয়েছে দেশজুড়ে শিল্পের জন্য জমি নিয়ে নেওয়ার ঘটনা বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য কৃষি জমি কিনে নেওয়ার ঘটনা। আর তার জেরে দেশের অর্থনীতির যে মূল ভিত্তি কৃষিক্ষেত্র তা দিন দিন কমছে।

আরও পড়ুন পঞ্চায়েতের আগে ধাক্কা পদ্মতে, ১০০ বিজেপি নেতাকর্মী ধরলেন জোড়াফুল

মোদির মন্ত্রী টোমার এই প্রসঙ্গেই জানিয়েছেন, ন্যাশনাল পলিসি ফর ফার্মার্স মোতাবেক কেন্দ্রের পরামর্শ হল, শিল্প করতে হলে তা অকৃষিযোগ্য জমিতেই করা উচিত। কৃষি জমি নিলেও তা যেন যৎসামান্য হয়। তাই শিল্পের জন্য কোন জমি দেওয়া হবে, তা রাজ্যেকেই দেখতে হবে। টোমারের এই বক্তব্য কার্যত মমতা ও তৃণমূলেরর সিঙ্গুর নিয়ে অবস্থানকেই আরও জোরালো করে দিল। কেননা বাংলার বুকে সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো গাড়ি নির্মাণের জন্য যখন বামফ্রন্ট সরকার জমি অধিগ্রহণ করছিল তখন মমতা ও তৃণমূলই সব থেকে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছিল। প্রশ্ন তুলেছিল, কেন জোর করে কৃষকদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে? কেন শিল্পের জন্য ৪ ফসলি জমি নেওয়া হচ্ছে? সেই প্রশ্নের যোগ্য উত্তর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দিতে পারেননি। তিনি শুধু বলেছিলেন, ‘আমরা ২৩৫, ওরা ৩০। ওদের কথা কেন শুনব?’।

আরও পড়ুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাড়ে ১৩ লক্ষ নতুন ভোটার রাজ্যে

মানুষ কিন্তু মমতার পাশেই থেকেছে। বাংলায় বাম রাজত্বের অবসান ঘটেছে। দেশে কৃষি আইন লাগু করেও মোদিকে তা থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এবার তাঁর সরকারের মন্ত্রীই কার্যত মমতা ও তৃণ্মূলের লড়াইকে সার্টিফিকেট দিয়ে দিল ঘুরপথে যে সিঙ্গুরের আন্দোলন যথার্থ ছিল। আর গোটা ঘটনাটা ঘটল এমন একটা সময়ে যখন বাংলার বুকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় বাম-বিজেপি জোট গড়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। সন্দেহ নেই টোমারের বক্তব্য সেই জোট গঠনের পথে দেওয়াল তুলে দিল। যা মমতাকে হারানোর জন্য ‘সাম্প্রদায়িক বিজেপি’র হাত ধরতে যাওয়া বামেদের কাছে এক বড় ধাক্কা। মিমি.তা কিন্তু এখনও তাঁর প্রতিশ্রুতি ধরে রেখেছেন। বাংলার বুকে এখন না জোর করে কৃষকদের কাছ থেকে জমি অধিগৃহিত হয়, না শিল্পের জন্য ৪ ফসলি জমি অধিগৃহিত হয়। এবার কার্যত সেই পথকেই দেশের মানুষ ও রাজ্য সরকারগুলিকে অনুসরণ করার বার্তা দিল মোদি সরকার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘মানুষ আছে দিদির পাশে’, ভোট দিয়ে বেড়িয়েই জানালেন নির্মল

তাজ্জব ঘটনা! দিব্যি বেঁচে, তবে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে শুনলেন তিনি মৃত

কোচবিহারের একাধিক জায়গায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ, আধা সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সরাসরি : সকাল ১১টা পর্যন্ত বাংলায় ভোটদানের হার ৩৩ শতাংশের বেশি

প্রথম ২ ঘন্টাতেই কমিশনের কাছে ৩৭টি অভিযোগ তৃণমূলের

শুক্রে রাজ্য়ের তিন কেন্দ্রে ভোট, মোতায়েন ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর