নিজস্ব প্রতিনিধি: শুধু বৃহৎ শিল্পই নয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দিকেও নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার (Govt)। জোর দেওয়া হচ্ছে কর্মসনস্থানের দিকেও। রাজ্য জুড়ে যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ছড়াছড়ি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বেকার অবস্থা ঘোচাতে স্থানীয় যুব সম্প্রদায় যুক্ত হতে চায় এই কাজে। তবে সহজে সি সুযোগ মিলত না এতদিন। ফলে খুঁজে নিতে হত স্বনির্ভর হওয়ার জন্য অন্য পথ। আর এই সমস্যার সমাধানেই উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, জেলায় জেলায় আরও বেশি করে গড়ে উঠবে ‘গ্রামীণ এন্টারপ্রেনারশিপ হাব’ বা আরইএইচ। আর সেই জন্যই বেকার যুবক- যুবতীদের নিয়ে গড়ে ওঠা ‘গ্রামীণ এন্টারপ্রেনারশিপ হাব’-এর সংখ্যা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাব দ্বিগুণ হলে বেকার যুবক- যুবতীর বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে পেরে উপার্জনের মুখ দেখতে পাবেন। আবার, এন্টারপ্রেনারশিপ হাবেই চাকরি হবে স্থানীয় যুবক-যুবতীদের। উল্লেখ্য, মুলত বেকার যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন ব্যবসার প্রতি উৎসাহ বাড়াতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং বস্ত্রশিল্প দফতরের অধীনে এই প্রকল্প গ্রহণ করে রাজ্য। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে রাজ্যে শুরু হয় আরইএইচ।
তবে অতিমারির কারণে গত দু’বছরে এই প্রকল্পের আশানুরূপ ভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। গত চার অর্থবর্ষে প্রায় ২৪০টি আরইএইচ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তার বেশির ভাগই স্থাপিত হয়েছিল ২০১৮-১৯ সালে এবং ২০১৯-২০ সালে। তবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের শেষের দিকে প্রায় ৮২টির মতো আরইএইচ স্থাপন করা সম্ভব হয়ে উঠেছিল। যা আগের ২ বারের তুলনায় অনেকটাই কম। সূত্রের খবর, আবারও জেলায় জেলায় এই ধরনের হাব খুলতে চলেছে রাজ্য।
জানা গিয়েছে, আরও ২৫০ টি হাব (Hub) খোলা হবে। যার ফলে প্রায় ৫০০টি আরইএইচ (REH) চালু করার নজির গড়তে চলেছে রাজ্য (State)। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবের সদস্য মিলিয়ে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে প্রায় ১০ হাজার জনের। উল্লেখ্য, হাবকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের যন্ত্র কিনে দেয় রাজ্য সরকার। কমপক্ষে ১০ জন বেকার যুবক-যুবতীকে নিয়ে একটি আরইএইচ তৈরি হয়। তবে এখন যে ২৪০টি হাব আছে, তার একএকটিতে ২০ থেকে ৬০ জন সদস্যও আছে। নতুন হাবে চাকরি পাবে প্রায় ৪ হাজার জন আর সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকছে ৬ হাজার জনের। মানে কর্মসংস্থানের সুযোগ ১০ হাজার জনের। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্যের বেকার যুবক- যুবতীরা।