নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেসের রাহুল গান্ধির টিমে থাকা মহুয়া মৈত্রকে(Mohua Moitra) তিনি তৃণমূলে(TMC) টেনে এনেছেন নাকি তাঁর আমোঘ আকর্ষণে মহুয়া তৃণমূলে পা রেখেছেন তা গবেষণার বিষয় হতেই পারে। তবে মহুয়ার প্রতি তাঁর আস্থা যে এতটুকুও কমেনি সেটা সবার আগে লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। আর এদিন তিনি নদিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে মহুয়ার হয়েই ব্যাটন ধরলেন। তেড়ে নিশানা বানালেন বিজেপিকে। আরও বলা ভাল মোদি বাহিনীকে। নজরে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের(Krishnanagar Constituency) তেহট্টে তিনি মহুয়ার হয়ে একটি সভা করেন। সেই সভা থেকেই তিনি বিজেপিকে(BJP) নিশানা বানান মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের প্রসঙ্গে। আমজনতার সামনে মমতা এদিন তুলে ধরেন কেন মহুয়ার প্রতি বিজেপির এত রাগ, আর কেনই বা মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছিলে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে।
এদিন মমতা বলেন, ‘বিজেপির কোনও অধিকার ছিল মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত করে দেওয়ার? আমরাও তো পারি আপনাদের সমস্ত বিধায়কদের বহিষ্কার করে দিতে। কাল আবার এখানে বিজেপির নেতারা মিথ্যে কথা বলতে আসছে। মহুয়াকে নিয়ে ওদের খুব জ্বালা। ও মুখের ওপর কথা বলে, ভয় পায় না। তৃণমূল লড়াই করে বাঘের বাচ্চার মতো। তাই ওর ওপর খুব রাগ। ও বলে দিয়েছিল দেশে কী চলছে। কী রাগ! কেন বলবে? কার সঙ্গে কার বন্ধুত্ব! এসব বলতে গেলে কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপ বেরিয়ে আসবে। কাল আবার মিথ্যা বলতে আসছে মহুয়ার এখানে। মহুয়াকে ভয় পায় বলে ওকে ওরা তাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু পার্লামেন্ট থেকে তাড়ালেও মানুষের মন থেকে ওকে তাড়াতে পারেনি। আপনারা আবার ভোট দিয়ে ওকে জেতান। ও আবার সংসদে আপনাদের হয়ে লড়বে।’ উল্লেখ্য আগামিকাল মহুয়ার লোকসভা কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থী তথা কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রানীমা অমৃতা রায়ের হয়ে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তার আগে তাঁর নাম না নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন মমতা।