নিজস্ব প্রতিনিধি: রুপোলি শস্যের (HILSA) স্বাদ পেতে উন্মুখ হয়ে থাকে বাঙালি। সহজে মেলে না ইলিশ। তবে নবান্নের (NABANNA) নয়া উদ্যোগে সেই দিন হতে চলেছে অতীত। বারোমাস পুকুরেই (POND) ইলিশ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই মৎস্য দফতরের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে নরওয়েন ইনস্টিটিউট অব ফুড, ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার রিসার্চ-এর। ফলে ইলিশের রকমারি পদের জন্য আর হা হুতাশ করতে হবে না।
নরওয়েন ইনস্টিটিউট অব ফুড, ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার রিসার্চ সংস্থা পরিচিত নোফাম নামে। এই গবেষণা সংস্থার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এই মাসেই ভিডিও কনফারেন্সে বসতে চলেছেন মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা। মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, রুপোলি শস্যের চারা সংগ্রহ থেকে প্রতিপালন করা সবকিছুতেই প্রযুক্তির সহায়তা দেবে নোফাম। ইলিশের জন্য বাংলাদেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়, গঙ্গায় সেভাবে মেলে না ইলিশ। বাঙালির আবেগ ইলিশ। তাই পাতে পাতে সহজেই ইলিশ জোগাতে উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার গঙ্গাপাড়ের কাছে বেশ কিছু পুকুর বাছাই করা হয়েছে। আপাতত প্রতি পুকুরের জন্য বরাদ্দ করা হবে ৫০ লক্ষ টাকা।
মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৩ বছর নোফিমার সহায়তায় ইলিশ চাষের চেষ্টা চলবে বঙ্গে। সমুদ্র ও গঙ্গা নদীতে বড় বড় খাঁচাতেও পরীক্ষামূলকভাবে করা হতে পারে চাষ। নোফিমা বিশেষজ্ঞরা মাছের চারা, খাদ্য, প্রতিপালন, প্রজনন সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করবে। উল্লেখ্য, এর আগেও সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা উদ্যোগ নিয়েছিল ইলিশ চাষের। তবে তা সফল হয়নি সেভাবে। বড়জোর ১০০ গ্রামের ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল। এবার জোর কদমে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। দফতর সূত্রেই খবর, বদ্ধ জলাশয়ে স্যামন চাষে সাফল্য পেয়েছে নোফাম। এবার বঙ্গের সঙ্গে গাঁটছাড়া বেঁধেছে নোফাম। লক্ষ্য, ইলিশ। জানা গিয়েছে, ইলিশের ‘সেরা স্বাদ’ আনতে পুকুরের মিষ্টি জলে লবণাক্ত জলের কৃত্রিম স্রোত তৈরি করা হবে।