নিজস্ব প্রতিনিধি: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির মৃত্যুকে (DEATH) কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে মৃতের পরিবার। মৃতের নাম জাকির হোসেন।
অভিযোগ, গত ১৪ অগাস্ট জাকিরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ঠিক তার পরের দিনই মৃত্যু হয়েছে জাকিরের। তবে সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে জাকির হোসেনের পরিবারকে জানানো হয়নি কিছুই। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, গত মঙ্গলবার জাকিরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের ব্যবহার রহস্যজনক মনে হয়েছিল জাকিরের পরিবারের কাছে। তাই বারবার জোর করা হয় জাকিরের পরিবারের পক্ষ থেকে। দাবি, তারপরই সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানায় জাকির অসুস্থ। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।
জাকিরের পরিবারের দাবি, হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় জাকিরের মৃতদেহ। পরিবারের আরও দাবি, গত ৬ অগাস্ট জাকিরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা হলে জাকির জানিয়েছিলেন তিনি ভালো আছেন। তাঁকে দেখেও অসুস্থ মনে হয়নি। আর তারপরেই এই ধরনের ঘটনা। অথচ সংশোধনাগার থেকে জানানো হয়নি কিছুই।
এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি কোতওয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, দফতরের নিয়ম অনুযায়ী হবে তদন্ত।
উল্লেখ্য, স্মৃতির বাড়ি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার ১০৮ ছোট কুচলি বাড়ি এলাকায়। গত বছরের অক্টোবর মাসে পকসো মামলায় গ্রেফতার করা হয় জাকিরকে। গত ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মিথলিগঞ্জ সেশন কোর্টের নির্দেশে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় জাকিরের।