এই মুহূর্তে

বাংলার সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুতের হিমঘর বেথুয়াডহরিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার মুকুটে যোগ হতে চলেছে আরও এক পালক। নদিয়া(Nadia) জেলার বেথুয়াডহরিতে(Bethuadohori) গড়ে উঠতে চলেছে রাজ্যের সব থেকে বড় সৌর বিদ্যুৎ চালিত বহুমুখী হিমঘর(Solar Cold Storage)। ৩৩ হাজার স্কোয়ার ফুট জমির ওপর ১০ কোটি টাকায় ১৫০ টনের এই হিমঘর নির্মাণে মিলছে জাপানি প্রযুক্তির সাহায্যও। এই হিমঘর নির্মিত হয়ে গেলে বেথুয়াডহরি এলাকার তো বটেই নদিয়া জেলার কয়েক লক্ষ চাষি থেকে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। কিছু সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। এই হিমঘর নির্মাণের জন্য এদিনই চুক্তি সাক্ষরিত হল নদিয়া জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি(Nadia District Regulated Market Comeety) ও জাপানি কাওয়াসাকি ওয়ার হাউসিং প্রাইভেট লিমিটেডের(Japan Kawasaki Ware Housing Private Limited) মধ্যে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই বেথুয়াডহরিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে এই হিমঘর নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলেই জানা গিয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ এই হিমঘর চালু করার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। তারপর থেকেই সেখানে সংরক্ষিত হবে ফুল, ফল ও শাকসব্জি।

বন্যা না হওয়ার কারণে ও জলের সেভাবে অভাব না থাকায় নদিয়া জেলাজুড়েই কৃষিকাজ বেশ ভাল হয়। শাকসব্জির পাশাপাশি ফল ও ফুলের চাষও হয় বেশ ভাল রকম। কিন্তু হিমঘরের অভাবে সেই সব জিনিস ঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা যায় না। তার জেরে কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফসলের দামও সঠিক ভাবে পান না। খুব কম দামে তাঁদের উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রি করে দিতে হয় কৃষকদের। কিন্তু এবার সেই ছবি বদলাতে চলেছে। হিমঘরে উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে তখন কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফসলের ভাল দাম যে শুধু পাবেন তাই নয়, তা বিদেশেও পাঠাতে পারবেন। বেথুয়াডহরিতে কোভিডের কয়ের বছর আগে থেকেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দুই পাশে ব্যাপক ভাবে ফুলচাষ হচ্ছে। কিন্তু হিমঘর না থাকায় তা যেমন সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না, তেমনি তা বিদেশে রফতানি করাও যাচ্ছে না। এই সমস্যার এবার সমাধান হতে চলেছে। আগামী দুই আড়াই বছরের মধ্যেই বেথুয়াডহরির ফুলচাষীরাও তাঁদের উৎপাদিত ফুলের ভাল দাম পেয়ে যাবেন দেশ ও বিদেশের বাজার থেকে।

সোমবার এই হিমঘর নির্মাণের জন্য চুক্তি সাক্ষরিত হল জেলার রেগুলেট মার্কেট কমিটির চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক শশাঙ্ক শেথী ও জাপানি কাওয়াসাকি ওয়ার হাউসের ডিরেক্টর পরাণ দাসের মধ্যে। রাজ্যের কৃষি বিপণনের সহ অধিকর্তা (প্রশাসনিক) সুদীপ পাল এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘বাংলায় এই প্রথম ১৫০ টনের সোলার পাওয়ার বহুমুখী হিমঘর হচ্ছে। সৌর চালিত হওয়ায় এখানে বিদ্যুতের সংযোগ থাকবে না। এবার আমরা ফুল,ফল সব্জি নষ্ট হওয়া আটকাতে পারব। এখানকার ফুল, ফল সব্জি বিদেশেও যাবে। নদিয়া জেলার কয়েক লক্ষ কৃষক রোদে ঝড়ে ফসল ফলালেও সংরক্ষণের অভাবে মুনাফার মুখ দেখতে পারেন না। আধুনিক সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় কাঁচা সব্জি, ফুল বা ফল কম পয়সায় বাজারে চলে যায়। আমদানি ভালো হওয়ায় বাজারে দামও কমে যায়। ফলে কৃষকদের ক্ষতি হয়। কিন্তু ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই এই হিমঘর নির্মিত হয়ে গেলে দ্রুত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বড় গাড়িতে ফুল, ফল, সব্জি তুলে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া সুবিধা হবে। যেখান থেকে বিদেশে ফল, ফুল, সব্জি রফতানি করা যাবে। কৃষকেরাও লাভের মুখ দেখবেন, তাঁদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও হবে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ভগবান’র প্রার্থীপদ খারিজের দাবি তৃণমূলের, নেপথ্যে মৃত্যু কামনা

ভাটপাড়া থেকে নিখোঁজ ছাত্রীকে বিধাননগর স্টেশন থেকে উদ্ধার করল পুলিশ

হরিশচন্দ্রপুরের জমির সমস্যাকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতী হামলা ,এলাকায় উত্তেজনা, ঘটনাস্থলে পুলিশ

১০০ দিনের কাজের মজুরি বৃদ্ধিতেও বাংলাকে বঞ্চনা কেন্দ্রের

বিজেপিকে হতাশ করিলেন রেখা, পাচ্ছেন স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা

মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুমন্তব্য  করায়  দিলীপের বিরুদ্ধে দায়ের FIR  

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর