নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (MAMATA BANERJEE) কড়া নির্দেশ ছিল, গনগনিকে (GANGANI) পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সুন্দর করে সাজাতে হবে। কটেজের ব্যবস্থা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের পরে জোর কদমে কাজ শুরু হলেও পরবর্তীকালে বারবার দেখা গিয়েছে ঢিলেমি। আর এতেই ক্ষুব্ধ গড়বেতাবাসী সহ ইতিহাস এবং পর্যটনপ্রিয় মানুষ।
দফায় দফায় মোট বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ৩ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা। গনগনিতে হয়েছিল প্রবেশ পথ, পার্কিং, রেস্টুরেন্ট, পানীজলের ব্যবস্থা, উদ্যান, প্রশাসনিক ভবন, কটেজ, কংক্রিট ছাতা, বাহারি বাতিস্তম্ভ, টাওয়ার, ফুডকোর্ট। তবে আড়াই মাস বন্ধ সেই কটেজ। সিঁড়ির অবস্থা বেহাল। বেশিরভাগ জায়গা ঢাকছে আগাছায়। অন্যদিকে, বহু কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েও বেহাল অবস্থা কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি গড়ের। শিরোমণি (SHIROMANI) গড়ের কটেজ থেকে আসবাবপত্র আনতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দা এবং পঞ্চায়েতের বাধার মুখে পড়েছিল গড়বেতা পঞ্চায়েত সমিতি। তবে শনিবার সেই আসবাবপত্র সত্যিই রানি শিরোমণি গড় থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে।
দু’টি ঐতিহাসিক জায়গা গড়বেতা (GARHBETA) ও কর্ণগড় (KARNAGARH)। দু’টি জায়গার জন্যই আলাদা আলাদা করে বরাদ্দ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। প্রশ্ন, তবে কেন একই জিনিস নিয়ে ‘এপাশ- ওপাশ’? অথচ, দু’টি জায়গাই পড়ে রয়েছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। তাহলে প্রশ্ন, ‘ফান্ড’ নিয়ে কি ‘আই-ওয়াশ’ হচ্ছে? দাবি, উঠছে, দুটি জায়গাকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক। উল্লেখ্য, লেখিকা ও ইতিহাসপ্রেমী সুস্মিতা হালদার দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন ‘বগড়ি বিদ্রোহ’ খ্যাত গড়বেতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের ঐতিহাসিক মর্যাদা আদায়ের জন্য। তাঁর দাবি, খননকার্য চালানো হোক। অন্যদিকে, কর্ণগড় নিয়ে ইতিহাস প্রিয় মানুষদের দাবি, শুধু খাতায় কলমে বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে নয়, সত্যিকারের সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হোক স্টেট প্রোটেক্টেড মনুমেন্টগুলির।