নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) নেতারা বেশ বড় মুখে দাবি করেছিলেন সিউড়ির(Suri) সভায় ভিড় হবে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের। এমনকি জানা গিয়েছিল সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শুধু বীরভূম থেকেই নয়, প্রতিবেশী দুই বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও লোক আনার কথা ছিল। লোক আনার কথা ছিল ঝাড়খণ্ড থেকেও। লোক এসেওছিল। কিন্তু তারপরেও দেখা গেল কেষ্টগড় বীরভূমের(Birbhum) বুকে জেলা সদর সিউড়ির বুকে বেনীমাধব ইন্সটিটিউশানের(Benimadhab Institution) মাঠে শাহি সভায় শাহি ভাষণের মাঝেও একের পর এক লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রঙের চেয়ার ফাঁকাই পড়ে আছে। শহরের বাসিন্দাদের দাবি, ৫০ হাজার তো বহু দূর ৩০ হাজার মানুষের ভিড়ও হয়নি শাহি সভায়। বিহার – ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এসেছে ঠিকই কিন্তু সভায় বাংলার মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। বীরভূমের মানুষের উপস্থিতি ছিল আরও কম। কার্যত সভা ফ্লপ বললেও ভুল বলা হবে না। এমনকি শাহি ভাষণের মাঝেই দলে দলে লোককে চলে যেতে দেখা গেল সভা ছেড়ে।
আরও পড়ুন বঙ্গে অমিত, বেপাত্তা দিলীপ, শাহি সফরকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না
কেষ্টগড়ে কেষ্ট’র অনুপস্থিতিতে অমিত শাহের(Amit Shah) সভা করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সভা ভরিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপির নেতারা। কিন্তু বাস্তবে এদিন দেখা গেল, বীরভূম মুখ ঘুরিয়ে রইল শাহি সভার থেকে। দলের জেলা নেতাদের অবশ্য দাবি, ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা। তাই অনেকে সভায় আসতে চাইলেও তাঁদের আনা হয়নি অসুস্থতার কথা ভেবে। নাহলে সভার ভিড় নাকি ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যেত। যদিও এই সব আকাশকুসুম দাবি নিয়ে কেউই মাথা ঘামাচ্ছে না। খালি এটুকু বোঝা গেল কেষ্টগড় আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পদ্মশিবিরের নাগালের বাইরেই থেকে যাচ্ছে। শাহি সভা থেকে না মিললো বাড়তি অক্সিজেন না মিললো কোনও ভোকাল টনিক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শাহ নিজে হাঁক পেড়েছিলেন ‘আব কে বার ২০০ পার’। বাস্তবে বিজেপির দৌড় থেমেছিল তার অর্ধেকের কম আসন ৭৭ পেয়ে। এবারে সিউড়ির সভা থেকে শাহ হাঁক পেড়েছেন ৩৫টি আসন বাংলার মানুষ যেন ২৪’র ভোটে বিজেপির হাতে তুলে দিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ফের যেন দেশের প্রধানমন্ত্রী বানান। আর তার জেরে প্রশ্ন উঠে গেল ২০২৪’র ভোটে বিজেপি বাংলা থেকে ৩৫’র অর্ধেক ১৭টা আসনও পাবে তো!