নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা: করোনা আবহে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে অনলাইনে পড়াশোনা। যদিও বর্তমানে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা ক্লাসে ফিরেছেন। কিন্তু নীচু ক্লাসের পডুয়াদের অনলাইনেই পড়াশোনা চলছে। তবে অনলাইনে ক্লাসের জন্য স্কুলে স্কুলে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। তাতে যেমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা রয়েছেন, তেমনই আছে পড়ুয়া বা তাঁদের অভিভাবকরা। যে পড়ুয়ার মোবাইল ফোন নেই তাঁদের বাবা বা মায়ের মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত হয়েছে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। এবার এরকমই এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এল একের পর এক অশ্লীল ছবি ও ভিডিও। অভিযোগ ওই অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছেন এক পড়ুয়ার বাবা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটের সেহারা হাইস্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে।
অভিযোগ, ওই স্কুলের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন অশ্লীল মেসেজ আসছিল। কখনও নগ্ন ছবি বা অশ্লীল ভিডিও। এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন শিক্ষকরা এবং অন্যান্য অভিভাবকরা। কিন্তু অভিযুক্ত অভিভাবকের দাবি, তাঁর ফোন হারিয়ে গিয়েছে, তিনি জানেন না কীভাবে এই ধরণের মেসেজ গ্রুপে আসছে। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে তা জানা নেই তাঁর। তবে পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের দাবি, ওই পড়ুয়ার বাবা এর আগেও লকডাউনে এই ধরণের কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, আমরা শিক্ষকরা এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুলের যাবতীয়দায় বর্তায় সভাপতির ওপর। সভাপতি ব্যাক্তিগত কারণে স্কুলে আসছেন না।