এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আর্সেনিকে বিষ হয়েছে ইচ্ছামতীর জল, বিপদে বনগাঁ-বসিরহাট

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্ণিত ইছামতীর(Icchamati River) মৃত্যু হয়েছে আগেই! যৌবনের উদ্দামতা হারিয়ে সে আজ বার্ধক্যে উপনীত! তবু আজও ইছামতীর দু’পাড়ের অনাবিল সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। কিন্তু সেই নদীর জলই এবার বিষ হয়ে উঠেছে মানুষের জন্য। নেপথ্য আর্সেনিক(Arsenic)। উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার বিস্তীর্ণ অংশে ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিকের বিপজ্জনক উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে অনেক আগেই। বহু মানুষ বাধ্য হয়ে একসময় সেই জল পান করে ক্যানসার সহ নানা মারণরোগের শিকারও হয়েছেন। এর মধ্যেই নতুন এক বিপদের ভ্রুকুটি! দেশে এই প্রথম কোনও নদীর জলে বিপজ্জনক মাত্রায় আর্সেনিক মিলেছে। ভারত-বাংলাদেশ(Indo-Bangla) দিয়ে প্রবাহিত সেই নদী হল ইছামতী। তার জলে এমন মারণ বিষের উপস্থিতি শুধু যে পরিবেশের জন্য উদ্বেগের তাই নয়, এর জেরে বহু মানুষের জীবন-জীবিকাও প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন Solar Pump বসাতে চাষিদের আর্থিক সহায়তা দেবে রাজ্য

নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের পাবাখালি এলাকায় চূর্ণী ও মাথাভাঙা নদীর সংযোগস্থল থেকে জন্ম ইছামতী নদীর। নদিয়া, বাংলাদেশ হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ ছুঁয়ে দুই বাংলার সুন্দরবনের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়ে তা সাগরে মিশেছে। দুই দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এই নদী আন্তর্জাতিক নদী। এই জলপ্রবাহের ওপর ভর দিয়েই এই নদীর কূলে গড়ে উঠেছে বনগাঁ(Bongna), টাকি ও বসিরহাট(Basirhat) শহর। এই ৩ শহরের পাশাপাশি আরও এক শহর বাদুড়িয়াতে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ে তুলতে চায় রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যেই নিয়ম মেনে সবার আগে এই নদীর জল সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল Kharagpur IIT-তে। সেখানে পরিবেশ বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২২ এর ২২ মে পর্যন্ত তিন দফায়(বর্ষার পর, শীত ও গ্রীষ্মে) বনগাঁ ও বসিরহাটের তিনটি করে জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আইআইটির নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর রাজ্যকে জানানো হয় গরমের সময় বনগাঁয় ইছামতীর জলে উদ্বেগজনক হারে আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুসারে প্রতি লিটার জলে ১০ মাইক্রোগ্রাম বা তার কম আর্সেনিক ক্ষতিকর নয়। কিন্তু গ্রীষ্মে বনগাঁ থানার সামনে থেকে নেওয়া জলে প্রতি লিটারে ২৭.৮, কানাইলাল পার্কের কাছে ৩০.১ এবং বনগাঁ আপনজন মাঠ লাগোয়া নদীর জলে ৩২.০৩ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক মিলেছে। বনগাঁয় ইছামতীর জলে আর্সেনিকের পাশাপাশি আয়রন, অ্যামোনিয়া এবং বিওডির (বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড) পরিমাণও অত্যন্ত বেশি বলে উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। 

আরও পড়ুন চা বাগানের মাঝে জলপাইগুড়িতে ৩৬ ফুটের শিবঠাকুর

ঘটনা হচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ২২টি ব্লকের মধ্যে ২১টিই আর্সেনিক প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত। তারমধ্যে আবার ৭-৮টি ব্লকে ইছামতীর জল দিয়ে সরাসরি চাষের কাজ করা হয়। সেক্ষেত্রে কৃষকের উৎপাদিত ফসলেও আর্সেনিক থাকার সম্ভাবনা এখন অনেকতাই বেড়ে গেল। আবার এই নদীর জল ধরে হচ্ছে মাছ চাষ। সেই মাছ থেকে শুরু করে বনগাঁর সব্জি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়। তাই এই তথ্য সামনে আসায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে ভূপৃষ্ঠের ওপরিভাগের জলেও আর্সেনিক মেলায় সার্বিকভাবে বিপদ অনেক বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের একাংশের ধারণা, গরমকালে ইছামতীর দু’পাড়ের বহু জায়গায় গভীর ও অগভীর নলকূপের জলে চাষাবাদ হয়। সেই জল নদীতে গিয়ে পড়ায় সেই জল আর্সেনিকযুক্ত হয়ে থাকতে পারে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আদালতের নির্দেশের পরেও ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে চাকরিহারাদের

বাতিল বীরভূমে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন, হাইকোর্টের দ্বারস্থ গেরুয়া শিবির

প্রথম ২ ঘন্টায় বাংলায় ৩ কেন্দ্রে ভোট পড়ল ১৫.৬৮ শতাংশ

সকাল থেকেই বাংলার ৩ লোকসভা কেন্দ্রের বুথে বুথে লম্বা লাইন

LIVE: ভিভিপ্যাট, ইভিএম বিভ্রাট নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর