নিজস্ব প্রতিনিধি: সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। কে কাকে হারে জিততে পারে এই গণতন্ত্রের পুরযুদ্ধে। কিন্তু বেলা যতই গড়িয়েছে, যে যুদ্ধ ক্রমশ গণতন্ত্রের উৎসবের চেহারা নিয়ে নেয় চারটি পুরসভা এলাকাতেই। সকাল থেকেই রাজ্যের চার পুরসভায় ছিল ভোটারদের ভিড়। বেলা বারোটার মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় দেখা যায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। বিকাল ৫টার সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত ভোটের হার নিয়ে যে তথ্য তুলে ধরলেন তাতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের ৪টি পুরনিগমেই ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশের আশেপাশে। কমিশনের ধারনা ভোট সম্পূর্ণ শেষ হলে ৭৫ শতাংশের আশেপাশে ভোটদানের হার থাকতে পারে।
এদিন কমিশন জানিয়েছে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে উত্তরবঙ্গের একমাত্র পুরনিগম শিলিগুড়িতে। সেখানে প্রদত্ত ভোটের হার ৭৩.৬০ শতাংশ। তারপরেই রয়েছে আসানসোল। সেখানে প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৭১.৮৭। বিধাননগরে ভোট পড়েছে ৭১.০৯ শতাংশ ও চন্দননগরে ভোট পড়েছে ৭০.৭৬ শতাংশ। ভোটদানের এই হার দেখে বিরোধীদের মধ্যে বিজেপি যেমন শিলিগুড়ি নিয়ে বেশ আশার কথা শুনিয়েছে তেমনি তৃণমূলও বাকি ৩টি পুরনিগমের ক্ষেত্রে বিরোধীহীন বোর্ড গঠনের কথা জানিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের তরফে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন আমজনতার এই ভোট প্রদানের হার দেখে আমজনতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যদিও বঙ্গ বিজেপির সভাপতিকে এদিন বেশ হতাশার সুরে বলে শোনা গিয়েছে, এদিনের নির্বাচণে গণতন্ত্রের সমাধি হয়েছে। তার জেরে তৃণমূলের তরফে পাল্টা তাঁকে কটাক্ষ হেনে বলা হয়েছে, বিজেপি বাংলা থেকে মুছে যেতে বসেছে। সেটা এবারের নির্বাচনেও ধরা পড়বে। সেটা জেনেই এখন থেকে কাঁদুনি গেয়ে রাখলেন সুকান্ত মজুমদার।