নিজস্ব প্রতিনিধি: সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। মৌসমভবনের সতর্কবার্তা। ধেয়ে আসছে ঘূর্নিঝড় সিত্রাং। বিকেলের দিকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পথে নামল বঙ্গবাসী। তারাপীঠ থেকে দক্ষিণেশ্বর, কালিঘাট থেকে ঠনঠনিয়া- মায়ের মুখ দেখতে সর্বত্র ভিড়। সন্ধ্যা হতেই শুরু হয় আরতি।
সোমবার ভারী বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই রবিবার রাতেই পুজোর বাজার সেড়ে রাখেন। তবে সকালেও বাজারে বেশ ভালোই ভিড় ছিল। ফুল-ফল থেকে মিষ্টির দোকান-সর্বত্রই ছিল চূডা়ন্ত ব্যস্ততা। অনেকে সকাল সকাল চলে যান বিভিন্ন শক্তিপীঠে। পুজো দিয়ে চলে আসেন। বহু প্রবীণ-প্রবীণাকেও দেখা গেল মন্দিরে। ভক্তিভরে মাকে তাঁরা পুজো দেন। বিকেলেও আকাশের মুখ ছিল ভার। তবুও মায়ের ভক্তরা চলে যান বিভিন্ন শক্তিপীঠে। রবিবার রাতেই অনেকে তারাপীঠ চলে যান। রাতে হোটেলেই ছিলেন। কেউ রাত কাটান আত্মীয়দের বাড়ি। মন্দিরে পুজো দিয়ে রাতে তারা তারাপীঠেই থাকবেন। সকালে ফেরা।
গত বছর করোনার কারণে এই সব শক্তিপীঠে প্রবেশ ছিল নিয়ন্ত্রিত। দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কম হওয়ায় শক্তিপীঠ-সহ বিভিন্ন প্রার্থনাকেন্দ্রে বিধিনিষেধ নেই। তাই, গত বছরের তুলনায় এবছর কালীপুজোতে তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, কালীতীর্থ কালীঘাট –সর্বত্রই ভিড়।
তবে যেটা চোখে পড়ল তা হল সংখ্যাগরিষ্ঠই মাস্কহীন। যেটা স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসকমহলকে কিছুটা উদ্বেগের মধ্যে রেখেছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ-সহ আটটি রাজ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টে বঙ্গে ১৭জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের নিরিখে বাংলা তৃতীয়স্থানে। অনেকের আশঙ্কা, উৎসব শেষ হলেই দেখা যাবে সার্বিকভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
তবে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকায় বাজি তেমনভাবে ফাটেনি। ফলে, যাঁরা বাজি ফাটানোর জন্য মুখিয়ে ছিলেন, তারা যে হতাশ তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন এখানেই রয়েছে সেই ‘কবিয়াল’ ভোলা ময়রার গ্রাম, রাজবাড়িতে হয় কালীপুজোও