নিজস্ব প্রতিনিধি: নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক (Affair) ছিল যুবকের। দিয়েছিল বিয়ের প্রতিশ্রুতি। সহবাস করেছিল। শুধু তাই নয় ওই যুবক করিয়েছিল ভ্রূণহত্যা। ঘটনার তদন্তে পুলিশ (Police)। গ্রেফতার (Arrest) অভিযুক্ত।
অভিযুক্ত পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র। নাম প্রদীপ্ত ডগর। বাড়ি হাওড়ার শ্যামপুরে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তকে পুলিশ ব্যাঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা শুরু হয়েছে। ভ্রূণহত্যার ঘটনাতেও শুরু হয়েছে মামলা।
অভিযুক্ত শ্যামপুরের রাধাপুর পুড়ুল পাড়া এলাকার বাসিন্দা। বছর খানেক আগে প্রেমের সম্পর্ক আর তারপরেই সহবাস। প্রেমিকা গর্ভবতী হয়ে পড়লে অভিযুক্ত তাকে চুপ থাকতে বলে। কয়েক মাস পর ওই নাবালিকা হয়ে ওঠেন সাবালিকা। এরপর ২ জনের মধ্যে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়। দিনেদিনে ওই সাবালিকার শরীরে ফুটে ওঠে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। এরপর অভিযুক্ত তাঁকে আমতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে এসে গর্ভপাত করায়। তারপর যায় ব্যাঙ্গালুরু।
যুবতীর অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে প্রদীপ্ত আর যোগাযোগ রাখছিল না তাঁর সঙ্গে। ততদিনে গর্ভপাত করানোর খবর জানাজানি হয়ে যায় যুবতীর বাড়িতে। যুবতী বারবার প্রদীপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও, সাড়া দিচ্ছিল না অভিযুক্ত। যুবতীর পরিবারের লোকেরাও যোগাযোগ করতে চেয়ে আশাহত হন। গত ৭ এপ্রিল তরুণী শ্যামপুর থানায় অভিজগ দায়ের করেন, অন্য কোনও উপায় না পেয়ে। পুলিশ তদন্তে নামে। যায় ওই যুবকের কর্মস্থলে। গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে ব্যাঙ্গালুরু থেকে নিয়ে আসা হয় শ্যামপুরে। গত শুক্রবার তাকে উলুবেড়িয়া আদালতে (Court) তোলা হয়। বিচারক ধৃতের ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।