নিজস্ব প্রতিনিধি: বেশ কয়েকমাস ধরেই ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষক, সরকারি কর্মীরা মায় রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও হুমকি ধমকি দেওয়া চিঠি পাচ্ছিলেন। দিতে হবে মোটা টাকা, নাহলেও হবে মাও হামলা। আর তার জেরে বেঘোরে যাবে প্রাণ। এহেন চিঠি পেয়ে কার আর সাহস হয় পুলিশে সব কথা জানাতে। তাই অনেকেই কাউকে এই বিষয়ে কিছু না জানিয়ে মোটা টাকা মিটিয়েও দিয়েছিলেন। এভাবেই চলছিল। কিন্তু এলাকায় ক্রমাগত মাওবাদী পোস্টার ছড়িয়ে পড়ার জেরে পুলিশও বাধ্য হল তদন্তে গতি আনতে। আর তার জেরেই বার হল সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকা ভূত। দেখা গেল রক্ষকই কিনা ভক্ষক। রাজ্য পুলিশেরই এক হোমগার্ড(Homeguard) কয়েকজন যুবককে জুটিয়ে এইসব করে চলেছিল। শেষে সেই হোমগার্ড সহ মোট ৬জনকে গ্রেফতার করে শনিবার তাদের আদালতে তুলল পুলিশ। ঘটনাস্থল ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলা।
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক মাস ধরে ঝাড়গ্রাম জেলার নানা প্রান্তে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ছিল। তার জেরে কিছুটা হলেও চাপে পড়ছিল পুলিশ প্রশাসন। শেষে এই ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করায় পোস্টার মারার ঘটনায় মলয় কর্মকার নামে এক যুবক জেলারই জামবনি থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বার হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যায় জামবনি থানারই হোমগার্ড বাহাদুর মান্ডি এই সব ঘটনা ঘটাচ্ছে। এরপরেই ওই হোমগার্ডকে গ্রেফতার(Arrest) করা হয়। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মেলে থেকে একটি পিস্তল এবং ৩৫ হাজার টাকা। উদ্ধার হয় একটি মোবাইল ফোন ও গুচ্ছের সিম কার্ড। এদের দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই একে একে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শংকর মণ্ডল, মহেন্দ্র হাঁসদা, বাবলু দলুই ও বাবুলাল সরেন নামে আরও ৪ যুবক(Fake Maoist)। এদের সকলকেই শনিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়েছে। এরাই মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার ছড়ানো ছাড়া কার্যত তোলা আদায়ের কাজ করে চলেছিল।