নিজস্ব প্রতিনিধি: নিত্যদিন ছেলের বউকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত ছেলের বাবা। শ্বশুড়ের এহেন কুকীর্তির প্রতিবাদ করেছিলেন ছেলের স্ত্রী। প্রতিবাদ করেছিলেন ছেলেও। কিন্তু নিজের বদঅভ্যাসও ছাড়েননি। এমনকি অভিযোগ, ছেলে বাড়িতে না থাকলেই শ্বশুড় কুপ্রস্তাব দিত বৌমাকে। সেই কথা ছেলের কানে যেতেই শুরু হয়েছিল সংসারে তীব্র অশান্তি। তার জেরে বাড়ি ছেড়ে বউকে নিয়ে আলাদা থাকার ব্যবস্থাও করে ফেলেছিল ছেলে। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল অঘটন। দিন সাতেক আগে বাবা ছেলের বিবাদ চরমে ওঠে। সেই সময়েই ছেলের ছোঁড়া ইটের আঘাতে জখম হন বাবা। তার জেরে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালেও। সেখান থেকে বাড়িতেও ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হতেই পাড়াপ্রতিবেশীরা ছেলের বিরুদ্ধে খুনের(Murder) অভিযোগ তোলে পুলিশের(Police) কাছে। এই ঘটনাকে ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়া(Bankura) জেলার সদর মহকুমার টাউন থানা এলাকার লোকপুরে।
জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম বরুণ সহিস(৫৫)। দিন সাত আগে তাঁর সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে বাড়ির মেজ ছেলে মটন সহিসের। সেই সময়েই মটনের ছোঁড়া ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে বরুণবাবুর। তার জেরে সেই সময় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। গত বুধবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন সকালে নিজের বাড়িতেই মারা যান বরুণবাবু। এরপরেই পাড়াপ্রতিবেশীরা পুলিশে অভিযোগ করেন মটন তাঁর বাবাকে খুন করেছে। সেই অভিযোগের জেরে এদিন পুলিশ মটনকে আটকও করে। যদিও মটনের স্ত্রী রাধা সহিস জানিয়েছেন, ‘আমার শ্বশুরমশাই আমাকে গালিগালাজ করতো। আমি একটি বাড়িতে কাজ করি। সেটা নিয়ে আমার শ্বশুরমশাই আমায় নোংরা গালাগাল দেয়। আর এই গালিগালাজ সহ্য করতে না পেরেই দু’জনের মধ্যে মারামারি হয়। ঘটনার মাঝেই আমার স্বামী শ্বশুরমশাইকে ইট দিয়ে আঘাত করে। আমি মেয়ে মানুষ ওদের ঝামেলা থামানোর ক্ষমতা নেই। তাও ওঁদের দুজনকে ছাড়িয়ে আলাদা করে দিই।’