নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাকা দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠলো মুর্শিদাবাদের মেডিকেল কলেজে। করোনা অতিমারির সময় টাকা দিয়ে মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে তাদের কারুর চাকরি নেই । আর তা নিয়েই বুধবার মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের চত্বরে শুরু হয় বিক্ষোভ । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বহরমপুর থানার পুলিশ। হাসপাতালের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, কোভিডের সময়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১৯ জন নিরাপত্তারক্ষী নেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে চাকরি দেওয়ার নাম করে অধিকাংশ যুবক-যুবতীর কাছ থেকে এক-দেড় লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ৬০ বছর পর্যন্ত অস্থায়ী চাকরি করতে পারবেন তাঁরা। তবে নিরাপত্তায় যোগ দেওয়ার ৭ থেকে ৮ মাস পরেই তাদের চাকরি চলে যায়। তারপর ২ বছর কেটে গেলেও তাদের মেলেনি চাকরি। তাই তাঁরা বাধ্য হয়েই হাসপাতাল চত্বরে শুরু করেন বিক্ষোভ। এদিন হাসপাতাল চত্বরে প্রথমে সিনিয়র সিকিউরিটি সুপারভাইজার ইউ এন গোস্বামীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন যুবক।
অভিযোগ উঠেছে , এই পুরো বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সিকিউরিটি হেড। জানা গিয়েছে, করোনার সময় বেশির ভাগ কর্মীই টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নতুন করে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা হলেও তা আর দেওয়া হয়নি। তারফলেই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে তাদের চাকরি চলে যায়। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এদিন আচমকাই এই বিক্ষোভের জেরে হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।