নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতি চলবে রাজনীতির পথে আর উন্নয়ন চলবে উন্নয়নের পথে। এই কথাতেই বিশ্বাস ও ভরসা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই কথা তিনি বার বার বলেন নানান সময়ে নানা অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথার ওপর আস্থা রেখে এগিয়েছে চলেছে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) এবং মা-মাটি-মানুষের সরকার। সেই সূত্রেই এবার বাংলার(Bengal) এক প্রান্তিক জেলা পেতে চলেছে সম্পূর্ণ ভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য একটি পৃথক ইউনিট(Cancer Treatment Unit)। সেই জেলাটির নাম পুরুলিয়া(Purulia)। এই জেলাতেই ২০১৯ সালে যেমন পদ্মের ঝড় বয়ে গিয়েছে তেমনি একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও গেরুয়া ঝড় বয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু জেলার মানুষ ভোট দেননি বলে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন সেখানে গিয়ে পৌঁছাবে না এমনতাও নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুরুলিয়া শহরে থাকা দেবেন মাহাতো মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে(Deben Mahato Medical College and Hospital) এবার চালু হতে চলেছে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ পৃথক একটি ইউনিট।
আরও পড়ুন বাংলার ১৫টি শহর চলে এল 5G’র আওতায়, নেপথ্যে Airtel
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হতে চলেছে ক্যান্সারের চিকিৎসা। বর্হি বিভাগ বা Outdoor-এ ক্যান্সারের প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়াও কেমোথেরাপিও শুরু হবে। সেই সঙ্গে হবে ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারও হবে সেখানে। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই ওই মেডিকেল কলেজের দুইজন চিকিৎসক বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণও নিয়ে এসেছেন। পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি সুকোমল বিষয়ী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘পুরুলিয়াতে বর্তমানে ক্যান্সারের চিকিৎসা না হলেও খুব দ্রুত এই পরিষেবাও শুরু হবে। মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি টিমও তৈরি হয়েছে। সেই টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। ক্যান্সারের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারও হবে। এছাড়াও প্রতি মঙ্গল এবং শুক্রবার, সপ্তাহের এই ২ দিন ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার Outdoor পরিষেবাও মিলবে। এবিষয়ে সব রকম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’
আরও পড়ুন লুকিয়ে ছাত্রীদের ছবি তুলে বিতর্কে যাদবপুরের অধ্যাপক
জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার বুকে এই ধরনের চিকিৎসা পরিষেবার কাজ শুরু করার জন্য প্রাথমিক ভাবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং কলকাতার NRS ও SSKM Hospital এরও সাহায্য নেওয়া হবে। পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা অন্যত্র প্রশিক্ষণেও যাবেন। দীর্ঘদিন ধরেই পুরুলিয়া জেলার ক্যান্সার আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওপরেই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পুরুলিয়ার মাটিতেই ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হলে জেলার বাসিন্দাদের অনেক সুবিধা হবে। কার্যত জেলার হাসপাতালেই ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হওয়াটা জেলার বাসিন্দাদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠতে চলেছে। বহু গরিব সাধারণ মানুষ থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা এতে উপকৃত হবেন। আর এই কাজ আবারও প্রমাণ করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পুরুলিয়া জেলার মানুষদের কতটা খেয়াল রাখেন। মানুষ দু-দুটি নির্বাচনে তৃণমূলকে প্রত্যাখান করলেও এখন মানুষের সেবাতেই আস্থা রাখেন বাংলার মেয়ে তথা বাংলার অগ্নিকন্যা। তাই তাঁর উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ থেকে বাদ পড়ছেন না প্রান্তিক পুরুলিয়া জেলার মানুষেরাও।