নিজস্ব প্রতিনিধি: বিগত কয়েকদিন ধরেই ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেই আবহে বাংলায় এনে রাখা হল রাফাল (Rafale) যুদ্ধবিমান। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার হাসিমারা (Hasimara) এয়ারবেসে (Airbase) রাখা হয়েছে ৩৬ নম্বর রাফাল যুদ্ধবিমান। শুক্রবার ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
অরুণাচল প্রদেশে চিনা সেনার আগ্রাসন নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সেই আবহে ৩৬ নম্বর রাফাল যুদ্ধবিমানের ভারতে অবতরণ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। হাসিমারা বিমান ঘাঁটিতে রাফাল নামার পরেই জল কামান দিয়ে যুদ্ধবিমানটিকে স্বাগত জানানো হয়। বায়ু সেনার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এয়ার এক্সারসাইজে অংশগ্রহণ করবে এই যুদ্ধবিমানটি।
প্রসঙ্গত তাওয়াং পরিস্থিতির জেরে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে বাংলার হাসিমারা বিমান ঘাঁটিতে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত বিমান ঘাঁটিতেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অসমের তেজপুর, উত্তরবঙ্গের হাসিমারা-সহ গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, অসমের তেজপুর, ছাবুয়ায় সুখোই-৩০ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি গোটা অসম সীমান্তেই মোতায়েন করা হয়েছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশে হাসিমারা বায়ুসেনার ছাউনি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর, হাসিমারা এয়ারবেসকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার রাতের অন্ধকারে প্রায় ৩০০ চিনা সেনা তাওয়াং সেক্টরে অনুপ্রবেশ করে ভারতের একটি সেনা শিবিরে চড়াও হয়। কিন্তু ভারতীয় সেনা তাদের রুখে দেয় বলে খবর। সীমান্তে লাল সেনার অতর্কিত হামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার সংসদে বিবৃতি দেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, চিনের লাল সেনাকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এই অতর্কিত হামলা নিয়ে চিন প্রশাসনের পদস্থকর্তাদের সঙ্গে কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা হবে। ভারত প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়।