নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভালোবেসে বিয়ে কয়েছিল। আর সেই ভালোবাসাতেই যে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে তা হয়তো বুঝতে পারেনি বছর ২৩-এর মধুমিতা। বিয়ের পর থেকেই তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে নেশা করার জন্য টাকা চাইত বলত স্বামী। তা নিয়ে দুজনের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। আর তাতেই স্বামীর হাতে খুন হল মধুমিতা।
এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া থানার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত চৌধুরী গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেম করে ২৩ বছরের মধুমিতা মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় চৌধুরী গ্রামের বাসিন্দা অনুপম মন্ডলের। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই অনুপম স্ত্রীর কাছ থেকে নেশা করার জন্য টাকা চাইত। আর সেই টাকা স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে আনতে বলত। এই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়শই বিবাদ হত।
জানা গিয়েছে , সেই টাকা মধুমিতা না আনলেই অনুপম মারধর করত। মধুমিতার পরিবারের তরফে জানান হয়েছে, নেশার টাকা না আনার জন্য তাদের বাড়ির মেয়েকে শ্বাস রোধ করে খুন করে অনুপম। তার একটি পা-ও ভেঙে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ মেয়ের পরিবারের। খবর পেয়ে মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন মেয়েকে নিয়ে ভাঙ্গর নলমুড়ি হাসপাতাল নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আটক হয়েছে মধুমিতার স্বামী এবং শাশুড়ি। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।