এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পদত্যাগ বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়ালের

নিজস্ব প্রতিনিধি: বড় উইকেট পড়ে গেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswabharati University) ক্রিজে। হুট করেই পদত্যাগ করে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(Registrar)। যদিও পদত্যাগ করেও তিনি ঘেরাও মুক্ত হননি। এখনও তিনি আটকে রয়েছেন বাংলাদেশ ভবনেই। মঙ্গলবার আশিস আগরওয়াল(Ashish Agarwal) ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ। তবে ঘটনার জেরে আন্দোলনে নামা পড়ুয়াদের দাবি, শুনছি রাতভর বাংলাদেশ ভবনে তাঁকে আটকে রাখায় অপমানিত হয়েছেন তিনি। সে কারণেই পদত্যাগ করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু আমরা কাউকে অপমান করার জন্য আটকে রাখিনি। রেজিস্ট্রার-সহ বাকি অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা নিজেরাই ওখানে ‘স্ব-ইচ্ছায় আটকে’ আছেন। তাঁরা সেখান থেকে যেতে চাইলে অনায়াসে যেতে পারেন।

পদত্যাগের ঘটনায় রেজিস্ট্রার আন্দোলনের বিষয়টি তুলে ধরলেও সামনে ভিন্ন তথ্যও এসেছে। আর তা হল রেজিস্ট্রারের সঙ্গে উপাচার্যের বিরোধ কার্যত তুঙ্গে উঠেছে। শুধু রেজিস্ট্রারই নয়, বিশ্বভারতীর সিংহভাগ অধ্যাপক-অধ্যাপিকা থেকে শুরু করে কর্মীরাও মনে করছেন বিশ্বভারতীর এই অচলাবস্থার জন্য দায়ী উপাচার্য(VC) নিজে। তাঁর স্বৈরাচারী নীতি, পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্তের জন্যই এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি এখন তিনি আদালতের নির্দেশও মানছেন না। সূত্রে জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রার নিজে চেয়েছিলেন আদালতের নির্দেশ মেনে বিশ্বভারতীর হোস্টেল খুলে দেওয়া হোক ও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হোক। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় বাগড়া দেন উপাচার্য। আর তার জেরেই এদিনের পদত্যাগের ঘটনা। যদিও রেজিস্ট্রার নিজে এদিন মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি। এই বিষয়ে এদিন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আশিস আগরওয়াল পদত্যাগ করেছেন। তাই তিনি আর কোনও কথা বলবেন না।’ তবে বিশ্বভারতীর কর্মীদের তরফে জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেছেন উনি।

সব থেকে বড় কথা যত সময় গড়াচ্ছে ততই বিশ্বভারতীতে চূড়ান্ত ভাবে কোনঠাসা হচ্ছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী(Bidyut Chakrabarty)। শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিক থেকে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকেরাও মনে করছেন কলকাতা হাইকোর্টের রায় যথাযথ ভাবে মেনে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কেটে যেত। নিত্যদিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে পঠনপাঠন আবারও স্বাভাবিক ছন্দেই ফিরে আসত। কিন্তু উপাচার্য সেই পথ বন্ধ করে দিয়ে নিজে তো একঘরে হলেনই সেই সঙ্গে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুললেন। কার্যত রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের ঘটনায় এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, এতদিন ধরে বিশ্বভারতীতে প্রশাসনিক স্তরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার না খোলা, কর্মীদের কাজে যোগ না দেওয়া, হুটহাট বিতর্কিত নোটিস জারি করার বিষয়, এসবই হচ্ছিল উপাচার্যের নির্দেশেই। কিন্তু এতদিন বিশ্বভারতীর কর্মী থেকে অধিকারিকেরা উপাচার্যের সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে চললেও এবার কার্যত বিদ্রোহ শুরু হইয়ে গেল বিশ্বভারতীর প্রশাসনের অন্দরেই। তবে পরীক্ষা না দিলে অকৃতকার্য হিসাবে দেখানো হবে পড়ুয়াদের, এই মর্মে যে নোটিস বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া হয়েছিল তা এদিন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দীর্ঘ ১৩ মাস পর মুর্শিদাবাদে নিজের বাড়িতে ফিরলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা

মানিকচকের মথুরাপুর হাটে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ত্রাণের ত্রিপল, তদন্তের নির্দেশ জেলা শাসকের

বনগাঁতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে ৫৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামল

দুর্গাপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করল বাইক চুরি চক্রের পান্ডাকে, উদ্ধার ৬’টি মোটরসাইকেল

শান্তি আর উন্নয়নের স্বার্থে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এবার পার্থ’র পাশে

কালিয়াচকে শৌচাগারের পরিত্যক্ত ট্যাংকিতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় চাঞ্চল্য

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর