-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 9:30 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য পুলিশের স্পেশাল হোমগার্ড পদে ক্রিমিনালদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, এই দাবিকে সামনে রেখে ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ৮ এপ্রিল বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। রবিবার সেই বন্ধের সমর্থনে মাও পোস্টার পড়ল ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলার বিনপুর থানা এলাকায়। ঘটনার জেরে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্বেগ ছড়িয়ে প্রশাসনিক মহলেও। কেননা রবিবার জেলার বিনপুর(Binpur) থানার কাঁকো অঞ্চলের ভান্ডারপুর গ্ৰামে যে মাও পোস্টার(Postar) পড়েছে সেখানে পরিষ্কার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তবে পুলিশের ধারনা মাওবাদীরা(Maoist) নয়, মাওবাদীদের নাম করে ওই পোস্টার দিয়েছে কেউ। তবে এই ঘটনা নিয়ে সব থেকে বড় বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন মাও নেত্রী রেখা সোরেন। তাঁর দাবি, মাওবাদীদের নাম করে আদতে পোস্টার ছড়াচ্ছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, রাজ্য পুলিশের স্পেশাল হোমগার্ড পদে ‘ক্রিমিনালদের’ চাকরি দেওয়া ও রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ তুলে মাওবাদীরা ৮ এপ্রিল বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে। সেই বন্ধের সমর্থনেই রবিবার পোস্টার পড়েছে বিনপুর থানার অন্তর্গত কাঁকো অঞ্চলের ভান্ডারপুর গ্ৰামে। তাও একটি নয় একাধিক পোস্টার পড়েছে ওই গ্রামে। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়ে গিয়েছে তা নিয়ে কিছু বলতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, এর আগেও যখন মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রশান্ত বসু গ্রেফতার হয়েছিল সেই সময়ও বন্ধের ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। সেই সময় বনধে ভাল প্রভাবও পড়েছিল জঙ্গলমহলে(Junglemahal)। তাই এবারের বন্ধে কী প্রভাব পড়ে তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। পুলিশের অবশ্য দাবি, মাওবাদীরা ওই পোস্টার লাগায়নি। মাওবাদীদের নাম করে অন্য কেউ এই পোস্টার লাগিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে আসার কারণ হিসাবে পুলিশের দাবি, এর আগে জঙ্গলমহলে আটক করা হয়েছিল দুইজন সন্দেহভাজন যুবককে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন যুবকের গতিবিধি ও কার্যকলাপের চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই ২জনের কাছ থেকে কম্পিউটার, পেনড্রাইভ, মোবাইল, একাধিক লিফলেট ও বই উদ্ধার হয়েছিল। কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও পেনড্রাইভ ফরেন্সিক টেস্টে পাঠানো হয়। উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলির কল লিস্ট খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছিল ওই যুবকেরা মাওবাদীদের নাম করে জঙ্গলমহল জুড়ে পোস্টার ছড়াচ্ছিল। এবারেও সেই একই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেই পুলিশের অনুমান।
তবে চাঞ্চল্যজনক ভাবে এদিনের পোস্টারকাণ্ডে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রাক্তন মাও নেত্রী রেখা সোরেন(Rekha Soren)। তাঁর দাবি, ‘মূল স্রোতে ফেরানোর জন্যই চাকরি দেওয়া হয়েছে। এখন জঙ্গলমহলে শান্তি বজায় আছে। কিন্তু বিজেপি এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে আবার অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। মাওবাদী বলে এখানে কিছু নেই। এটাও বিজেপির নতুন ধরনের চক্রান্ত।’ যদিও ঝাড়গ্রামের বিজেপি নেতৃত্ব সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যদিও মাও নেত্রীর বক্তব্য রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় নেতারা যেমন সমর্থন করেছে তেমনি পুলিশও সেই দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।