নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচার মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামাইবাবু কমলকান্তি ঘোষ এবার সিবিআই নজরে। এর আগে কেষ্টর জামাইবাবুর নাম পাওয়া গিয়েছিল শিবশম্ভু চালকলের সঙ্গে। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, গরু পাচার মামলায় কমলকান্তির ১৮টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলের জামাইবাবু কমলকান্তি ঘোষ আদতে নানুর থানা এলাকার হাটসেরান্দি গ্রামের বাসিন্দা। শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লিতে তাঁর বাড়ি রয়েছে। যদিও সেই বাড়ি কার নামে রয়েছে তা জানা যায়নি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী হাটসেরান্দি মৌজা এলাকায় ৩টি জমি রয়েছে কমলকান্তি ঘোষের নামে। বোলপুরের গোবিন্দপুর মৌজায় ১টি জমি ও কালিকাপুর মৌজায়ও ২টি জমি রয়েছে কেষ্টর জামাইবাবুর নামে। যদিও এই সম্পত্তির বিষয়ে কমলাকন্তি ঘোষ কিছু জানাননি সংবাদমাধ্যমকে। কমলকান্তির ছেলে রাজা ঘোষ জানান, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে আত্মীয়তা ছাড়া আর কোনও সম্পর্ক নেই আমাদের।
প্রসঙ্গত গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর মেয়ে সুকন্যা-সহ একাধিক আত্মীয়দের বিপুল সম্পত্তির হদিস পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। গরু পাচারের টাকা কোথায় কোথায় পাঠানো হত, কাকে কাকে দেওয়া হত সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেই তদন্তে সিবিআইয়ের সামনে এসেছে কমলকান্তির নাম। উল্লেখ্য কমলকান্তি ঘোষ বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। এর আগে বোলপুরের ‘শিবশম্ভু’ নামে চালকলটির সঙ্গে নাম জড়ায় কমলকান্তি ঘোষের। ওই চালকলটি কেষ্টর দিদি শিবানী ঘোষ ও জামাইবাবু কমলকান্তি ১২ বছরের জন্য লিজ নেন। এই চালকল-সহ আরও বেশকিছু চালকল অনুব্রত মণ্ডলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বলে অভিযোগ।