এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

হিন্দুস্থান কেবলসের মাঠে রাত্রিবাস, অভিষেকে অস্বস্তি বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdhwan) জেলার আসানসোল শিল্পাঞ্চলের(Assansol Industrial Area) মানুষের কাছে ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ ‘কালো দিন’ হিসেবেই চিহ্নিত। ওইদিনই বন্ধ হয়েছিল একদা দেশের অন্যতম বৃহৎ কেবল কারখানা রূপনারায়ণপুরের(Rupnarayanpur) হিন্দুস্থান কেবলস(Hindustan Cables)। তার জেরে আস্ত একটা শিল্পশহর অন্ধকারে ডুবে যায়। কর্মীরা একাধিকবার নিজেদের প্রাপ্য আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছেন। কারখানা খোলার দাবিতে কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন। কোনও লাভ হয়নি। সেই জমি লুট করছে মাফিয়ারা। সেই ভুতুড়ে কোয়ার্টারে ঘেরা এলাকাতেই পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষ্যে পার্টির অধিবেশন করতে চলেছেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সেই সভা থেকে যে তিনি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সুর চড়াবেন বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। শুধু তৃণমূল কর্মীরাই নয়, হিন্দুস্থান কেবলসের প্রাক্তন কর্মীরাও সেদিকে তাকিয়ে আছেন। যদিও মৃত শহর আবারও জেগে ওঠে এই আশায়। আর অভিষেকের এই কর্মসূচী ঘিরেই তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বিজেপি(BJP)।

আরও পড়ুন শান্তিনিকেতনকে অনেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি বলেন, নাড্ডাকে খোঁচা মমতার

১৯৫২ সালে অবিভক্ত বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশেই গড়ে উঠেছিল হিন্দুস্থান কেবলসের কারখানা। উদ্দেশ্য ছিল দেশের মধ্যেই কেবলস তৈরি করা। প্রায় আড়াই হাজার কর্মী ও আধিকারিকদের নিয়ে সেই কারখানা চালু হয়েছিল। তাঁদের থাকার জন্য তৈরি হয়েছিল বেশ বড় কলোনিও। ক্রমশই সেই কারখানা শ্রীবৃদ্ধির পথে হাঁটা দেয়। বাড়তে থাকে কারখানার বহর, কর্মীদের সংখ্যা এবং কলোনির এলাকাও। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সেই কারখানা রমরমিয়ে চলছিল। সেই সময় ওই সংস্থায় কর্মী ও আধিকারিক মিলিয়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করতেন। কিন্তু ১৯৯৫ থেকেই বিএসএনএল তাঁদের অর্ডার দেওয়া কমাতে শুরু করে। তার জেরে ক্ষতির সন্মুখীন হয় সংস্থাটি। শুরু হয় কর্মী ছাঁটাই। ২০০৩ সালে বিএসএনএল যখন এই কারখানায় অর্ডার দেওয়া পুরো বন্ধ করে দেয় তখনও কারখানায় ৫ হাজারের মেশি মানুষ কাজ করতেন। সেই সময় থেকেই শুরু হয় কারখানায় বেতন বকেয়া থাকার পালা। এরপর সময় যতই গড়িয়েছে ততই সমস্যা বেড়েছে সেখানে। শেষমেষ ২০১৭ সালের মার্চে এই কারখানা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গেরুয়া শিবির নিষিদ্ধ করল ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান

চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কলোনির পাশেই গড়ে উঠেছিল হিন্দুস্তান কেবলস কারখানার কলোনি। আর এই দুই শিল্পসংস্থার হাত ধরে রূপনারায়ণপুরে দেড় থেকে ২ লক্ষ মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। কিন্তু হিন্দুস্থান কেবলস কারখানার ক্রম অবনতি ধাক্কা দিয়েছিল রূপনারায়ণপুরের অর্থনীতিতেও। সরকারের খাতায় কলমে রূপনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা হলেও তা কার্যত বড়সড় শহরের চেহারা নিয়েছে। খালি সেই শহরের একাংশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে হিন্দুস্তান কেবলসের ভুতুড়ে কলোনি। একের পর এক দুইতলা কোয়ার্টার ভগ্নাবশেষ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেই বস বাড়ির দরজা-জানলা-পাইপ সবই চুরি হয়ে গিয়েছে। সেখানে এখন আর কেউ থাকে না। শেই ভুতুড়ে কোয়ার্টার ঘেরা এলাকাতেই জনসংযোগ যাত্রার জন্য রাত্রিবাস করতে চলেছে অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায়। সালানপুরে হিন্দুস্থান কেবলসের মাঠে রাত্রিবাস করবেন তিনি। যেহেতু মোদি সরকারের(Modi Government) আমলেই বন্ধ হয়েছে হিন্দুস্থান কেবলস তাই ধরেই নেওয়া হচ্ছে বিজেপিকে মোটেই এই নিয়ে ছেড়ে কথা বলবেন না অভিষেক।  

আরও পড়ুন মালদায় জয়জয়কার বাংলা মদের, ১ বছরে বিক্রি ৩৬৫কোটির

অভিষেকের এই কর্মসূচীকে স্বাগত জানিয়েছেন হিন্দুস্থান কেবলস পুনর্বাসন সমিতির সম্পাদক সুভাষ মহাজন। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার একবার জমিটি সার্ভেও করে গিয়েছে। কেন্দ্র আমাদের জন্য কিছু করবে না। রাজ্য শিল্প গড়তে উদ্যোগী হলে খুবই ভালো হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমার স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে সমস্যাগুলি জানাতে চাই। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের নির্মম বঞ্চনার প্রমাণ বহন করে রূপনারায়ণপুর।’ বস্তুত অভিষেকের এই কর্মসূচীকে ঘিরে রাতারাতি রূপনারায়ণপুরও জেগে উঠেছে। চোদ্দ ও উনিশের লোকসভা ভোটে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি জেতায় অনেকেই আশা করেছিল্বেন মোদি সর কার রূপনারায়ণপুরের জন্য কিছু করবেন। কিন্তু তা না হওয়ায় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রূপনারায়ণপুর আর মোদির পাশে দাঁড়ায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই তাই অভিষেকের কর্মসূচী ঘিরে অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

প্রচন্ড গরমের মধ্যে লাগাতার ১৫ দিন ধরে লোডশেডিং,প্রতিবাদে অবরোধ

চন্দননগরে প্রচারে গিয়েও প্রসিদ্ধ ‘জলভরা সন্দেশ’ চাখা হল না রচনার, কেন?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর