নিজস্ব প্রতিনিধি: এ কোন সভ্যতা! কোণে কোণে ছেয়ে আছে অন্ধকার যুগ। গতিশীল বিজ্ঞানের যুগে আজও হাজার হাজার মানুষের মনে অন্ধ বিশ্বাস। আর তার সুযোগ নিয়েই রমরমিয়ে ব্যবসা করে কারবারিরা। ঝাড়ফুঁকের নামে চালানো হয় অকথ্য অত্যাচার। সেই সুযোগে মুনাফা লুটে নেয় ওঝারা। এবার ওঝার ‘ভূত তাড়ানোর টোপে’ পড়ল এক নাবালিকা। ঘটনা বাঁকুড়ার।
মেজিয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাউরী পাড়ার ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা এক নাবালিকা। সে তেলেন্ডি পুরুনিয়া হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার রাত থেকে অস্বাভাবিক আচরণ ধরা পড়েছিল ওই নাবালিকার মধ্যে। পরিবারের ধারণা হয়েছিল, তাঁদের মেয়ের ওপর ভূত ভর করেছে। তারপরেই ওই নাবালিকার বাড়ির সদস্যরা যান বেলিয়াতোড় থানার গদারডিহি এলাকার এক মহিলা ওঝার কাছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ২ জন পুরুষ কর্মী নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে আসে ওঝা।
বিজ্ঞানমঞ্চের অভিযোগ, নাবালিকার বাড়ি থেকে কিছু দূরে ওঝারা শুরু করে পুজোর নামে তাণ্ডব। অকথ্য অত্যাচার চালানো হয় নাবালিকার ওপর। সেই খবর পেয়েই ওই এলাকায় গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা। বিজ্ঞানকর্মীদের দাবি, গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে বলা হয় এসব ভুয়ো। অযথা অত্যাচার করা হচ্ছে নাবালিকার ওপর। এই অত্যাচার বন্ধ করার জন্য। তখন বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীদের অকথ্য গালিগালাজ করে ওঝা ও তার ২ সহযোগী এবং গ্রামবাসীদের একাংশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা খবর দেয় স্থানীয় থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মেজিয়া থানার পুলিশ (POLICE)। এরপরে উদ্ধার করা হয় বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মী ও নাবালিকাকে।