নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালির(Sandeshkhali) ঘটনা নিয়ে বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তার জেরেই এদিন অর্থাৎ শনিবার তিনি এই নিয়ে কথা বলেন রাজ্য পুলিশের DG রাজীব কুমারের সঙ্গে। আবার তৃণমূল ভবনে এদিন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার মন্ত্রীরা এবং সন্দেশখালির নেতারা। তারপরেই সামনে এল দুটি ঘটনা। একদিকে যেমন সন্দেশখালির মাটিতে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা দিলেন বারাসতের DIG সুমিত কুমার, তেমনি কলকাতার রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে বড় বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। DIG জানালেন, সন্দেশখালিতে নতুন করে যে বা যারা গোলমাল বা ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা যাঁরা করবেন, তাঁদের কপালে দুঃখ আছে। আর পার্থ জানালেন শাহজাহান শেখের(Sahajahan Sheikh) সাগরেদ উত্তম সরদার(Uttam Sardar) দল থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হচ্ছে।
সন্দেশখালি এলাকার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দুই সাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সরদারকে গ্রেফতার করার দাবিতে সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেখানকার বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, শাসক দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় অত্যাচার চালান শাহজাহানেরা। জোর করে জমি দখল করে নেওয়া হয়। কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হয় না। টাকা চাইতে গেলে মারধর করা হয়। তাই ওই ৩জন নেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাঁদের জমি ফেরত দিতে হবে। উল্লেখ্য উত্তর শুধু শাহজাহানের সাগরেদই নয়, জেলিয়াখালি এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিও। সেই উত্তমকেই এদিন তৃণমূল ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করে দিল। এই কড়া সিদ্ধান্তের নেপথ্যে দলনেত্রীর মাথাই কাজ করছে সেটা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
আবার বারাসতের DIG সুমিত কুমার জানিয়েছেন, ‘সন্দেশখালিকে আর নতুন করে অশান্ত হতে দেবে না পুলিশ। অনেক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। তাই সন্দেশখালির মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যথাসম্ভব সাহায্য করবে পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেটও বন্ধ। কেউ যদি কোনও গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে, তা হলে তার বিরুদ্ধে যত শক্ত পদক্ষেপ করা যায়, করা হবে। কেউ গন্ডগোলে যাবেন না। ঝামেলা পাকাবেন না। না হলে কপালে কষ্ট থাকবে। আমরা আর কোনও গন্ডগোল হতে দেব না।’