নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার বাংলার জন্য National Health Mission’র খাতে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। আর তার জেরে ধাক্কা খাওয়ার উপক্রম হয়েছিল গ্রামীণ এলাকার সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা। আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল এই সুযোগে গ্রামবাংলার বুকে হাতুড়ে ডাক্তাররা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবেন। সেক্ষেত্রে গ্রাম বাংলার মানুষ ভুল চিকিৎসার শিকার হতে পারতেন। আর তাই রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের(Bengal) গ্রামে গ্রামে সবকটি পঞ্চায়েতে Smart Dispensary খোলার। আর যেখানে যেখানে এই ধরনের Smart Dispensary ইতিমধ্যেই রয়েছে সেগুলিকে ফের সক্রিয় করে তুলতে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর নির্দেশ দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকদের দাবি, বহু গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করাতে হাতুড়েদের কাছেই যান। অথচ সেই হাতুড়েদের মধ্যে অনেকেই প্রশিক্ষিত নন। ফলে রোগীরা সহজে সুস্থ হয়ে ওঠেন না। পাশাপাশি অনেকের স্বাস্থ্যের অবনতিও হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। তাই যেসব পঞ্চায়েতে Smart Dispensary রয়েছে, সেখানকার ডাক্তারদের কাছেই যাতে গ্রামবাসীরা চিকিৎসা করান, তার ওপর জোর দিচ্ছেন পঞ্চায়েত কর্তারা। এই ডিসপেন্সারিগুলিতে মূলত আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথি এবং ইউনানি চিকিৎসা হবে। Smart Dispensary-তে ডাক্তার দেখানোর জন্য একটি Aap তৈরি করছে পঞ্চায়েত দফতর। নির্ধারিত দিনে সেখানে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়া আসতে পারবেন রোগীরা। এই Aap তৈরি করার পিছনে একটি উদ্দেশ্য রয়েছে পঞ্চায়েত দফতরের।
সেটা হল, এতদিন কোন পঞ্চায়েতে, কোন ডাক্তার কখন বসছেন, এবং দিনে কত রোগী দেখছেন তার কোনও রেকর্ড দফতরের কাছে থাকত না। কিন্তু এবার Aap’র মাধ্যমে সবটাই তাদের নখদর্পণে থাকবে। এইসব Smart Dispensary-তে রোগী দেখার পর Prescription অনলাইনেই লিখতে হবে ডাক্তারকে। তারপর সেটির একটি Print Out রোগীকে দিতে হবে। কিন্তু ওই Prescription অনলাইনে আপলোড হয়ে থাকবে। দিনের শেষে পঞ্চায়েত দফতর দেখে নিতে পারবে, কোন Smart Dispensary-তে একজন ডাক্তার কতজন রোগী দেখেছেন।