এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সৌরকণা নিয়ে গবেষণায় মার্কিনমুলুকে পাড়ি দিচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের সৌভিক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ার: সৌরকণার রহস্য ভেদ করতে গবেষণা করতে চান উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের নিউটাউন দুর্গাবাড়ি এলাকার যুবক সৌভিক বোস। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা ও লকহিড মার্টিনের যৌথ স্পেস রিসার্চ প্রকল্পে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন তিনি। মূলত সৌরকণা নিয়ে গবেষণার কাজেই তিনি নিযুক্ত হয়েছেন। এলাকার এক যুবকের কৃতিত্বে খুশি এলাকাবাসী।

আলিপুরদুয়ারের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিউটাউন দুর্গাবাড়ির ৩০ বছরের যুবক সৌভিকের ডাক নাম আপ্পু। বাড়ি ও বন্ধু মহলে ওই নামেই পরিচিত। বাবা সৌমেন বোস কর্মসুত্রে অসমের গুয়াহাটিতে থাকাকালীন সৌভিক বোসের জন্ম সেখানে। পরে ওই পরিবার আলিপুরদুয়ারে ফিরে আসে। সেখানেই স্থানীয় একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পড়াশোনার পাঠ শেষ করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার সাহা ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রো ফিজিক্সে মাস্টার ডিগ্রি করে সৌভিক। এরপর নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা সম্পূর্ণ করে পিএইচডি ডিগ্রি পান আলিপুরদুয়ারের গৌরব সৌভিক।

এখানেই থেমে থাকতে নারাজ এই মেধাবী পড়ুয়া। এবার আরও উন্নত গবেষণায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান আলিপুরদুয়ারের সৌভিক বোস। এবার রহস্যময় সৌরকণা নিয়ে গবেষণার জন্য নাসা ও লকহিড মার্টিনের যৌথ একটি গবেষণায় ডাক পেয়েছেন তিনি।

আলিপুরদুয়ার শহর থেকে ১০ বছরে ধাপে ধাপে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন এই গবেষক। তাঁর নতুন গবেষণাও পুরোপুরি সূর্যকেন্দ্রিক। সোমবার আলিপুরদুয়ারের বাড়িতে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে এবার একবারে নতুন গবেষণার সাথে যুক্ত হওয়ার বিষয় নিয়ে সৌভিক ওরফে আপ্পু জানিয়েছেন নাসা থেকে ডাক পাওয়ার কথা। সৌভিক বোস বলেন, মূলত সূর্যকণার থেকে আমাদের পৃথিবীর কী ক্ষতি হতে পারে এটাই তাঁর গবেষণার মূল লক্ষ্য। এছাড়া কখন কীভাবে কতটা পরিমান সূর্যকণা বেড়িয়ে আসতে পারে তা আগাম জানতে পারলে বিশ্বের সমস্ত দেশ অনেক ক্ষতি এড়াতে পারবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সৌভিক বলেন, উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,পৃথিবীর চারদিকে মানুষের হাতে তৈরি প্রচুর স্যাটেলাইট ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে সোলার ফ্লেয়ার বা সৌরঝড় বা সূর্যের মধ্যে বড়সড় বিস্ফোরণ হলে আচমকাই প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রন, প্রোটন কণা বেড়িয়ে আসে। এতে একসঙ্গে সব স্যাটেলাইট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মহাকাশ স্টেশন, সেখানে থাকা মহাকাশচারীরাও। পৃথিবীর একটি বড় অংশের পাওয়ার গ্রিড কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এককথায় গোটা পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থাই নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে এই সৌরকণা থেকে। আর এমনটা হলে গোটা পৃথিবীতে মাত্র ১ সেকেন্ডে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে। ফলে আলিপুরদুয়ারের সৌভিকের গবেষণা আগামীদিনে পৃথিবীকে সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করবে।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়ে গবেষণা চলছে। তবে এখনও সাফল্য অধরা। আমেরিকার নাসা ও লকহিড মার্টিন দুটি সংস্থাই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। আলিপুরদুয়ারের কৃতি ছাত্র হিসেবে ইতিমধ্যেই লন্ডনের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ লন্ডনের তরফে ২০২০ সালের মে মাসে তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ফেলোশিপ পেয়েছেন সৌভিক। তিনি জানিয়েছেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন গবেষক তাঁর নাম প্রস্তাব করেন এই ফেলোশিপের জন্য। নাসার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার সাথে ইতিমধ্যেই যুক্ত রয়েছেন সৌভিক বসু। সাম্প্রতিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্য নিয়ে নাসার গবেষকেরা টেলিস্কোপের কিভাবে উন্নতি করেছেন, তা নিয়ে বিখ্যাত এস্ট্রোনমি এবং এস্ট্রোফিজিক্স জার্নালে সৌভিকের লেখা প্রকাশিত হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদের 

বাড়ছে উদ্বেগ, বঙ্গে করোনার নতুন প্রজাতিতে আক্রান্ত ৩০

মিতালীকে সামনে রেখেই আরামবাগ জয়ের ছক তৃণমূলের

ভোটের আগে এগরা থেকে উদ্ধার হাঁড়ি ভর্তি বোমা, এলাকায় চাঞ্চল্য

চোরাশিকারিদের হামলায় সুন্দরবনে মৃত্যু বন রক্ষীর

হান্নানের উলুবেড়িয়ায় এখন সুলতান-সাজদার লড়াই, জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা মাত্র

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর