নিজস্ব প্রতিনিধি: স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (STF) হাতে এসেছে একটি পেনড্রাইভ। আর সেই পেনড্রাইভ থেকে পাওয়া তথ্য থেকেই একাধিক সূত্র পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, সন্ধান চালানো হচ্ছে ভারতীয় আলকায়দা গোষ্ঠীর নয়া মডিউলের। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আলকায়দা জঙ্গি হাসনত শেখের মালদার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই পেনড্রাইভটি।
উল্লেখ্য, এই হাসনত ভারতের আলকায়দা বা আকিসের সদস্য। বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকদফায় জঙ্গি নেতা ও সদস্যরা চোরা পথে পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঢুকেছে। তাদের জাল পরিচয়পত্র এবং থাকার ব্যবস্থা করত হাসনত। তার যোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি চক্রেও। উত্তরপ্রদেশে শিক্ষকের ছদ্মবেশে ছিল কুখ্যাত এই জঙ্গি (TERRORIST)। সেখান থেকেই সে চালাত জঙ্গি স্লিপার সেল। সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের মাণ্ডি এলাকা থেকে ধরা হয় কুখ্যাত এই জঙ্গিকে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই জঙ্গি সংগঠন বাদেও একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ ছিল হাসনতের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনে এই জঙ্গি জড়িত। জানা গিয়েছে, ধৃত হাসনাত আলকায়দা জঙ্গি সংগঠনের ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সদস্য। অভিজিৎ রায় খুনে জড়িত এই সংগঠন এবং হাসনাত, গোয়েন্দাদের কাছে এই খবর ছিল আগে থেকেই। তার তল্লাশিতেই সুজাপুরে গিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে হাসনাতকে পাওয়া যায়নি। এরপরে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন অভিযুক্ত পালিয়ে আত্মগোপন করেছিল উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে। সেখানে গিয়েও নজর রেখেছিলেন তৎপর আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাজ্যের বাইরে আলকায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ধৃতের। তার ঘনিষ্ঠ এবং নিয়মিত যোগ রয়েছে বাংলাদেশ একিউআইএফের শীর্ষদের সঙ্গেও। এর আগে কাজী এহসান মোল্লা ও আবদুর রফিক সরকার নামে দুই আলকায়দা জঙ্গি ধরা পড়েছিল গোয়েন্দাদের জালে। তাদের জেরা করে খোঁজ মিলেছিল হাসনাতের।