নিজস্ব প্রতিনিধি : নিজের মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি হুগলির কোন্ননগরের বাসিন্দা কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়। সন্তানের দেহের সামনেই নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় কৃষ্ণাদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে কোন্ননগরের ক্রাইফার রোড লাগোয়া একটি আবাসনে।
কিন্তু কী কারণে আত্মহত্যা করেন কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে বিপাশা? জানা যায়, বছর সাতেক আগে কোন্ননগরে ক্রাইফার রোড লাগোয়া অরণী আবাসনে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন মুখোপাধ্যায় পরিবার। কৃষ্ণাদেবীর স্বামী বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় বেশ কয়েকমাস ধরেই শয্যাশায়ী। বাবা ও মায়ের পেনশনের টাকাতেই সংসার চলত। বাবার চিকিৎসার পিছনে খরচ করে অনেক টাকাই বেরিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সংসার চালাবেন সেকথা বুঝে উঠতে পারছিলেন না ৩৫ বছর বয়সি বিপাশা। শেষ পর্যন্ত নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
শুক্রবার এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিজের মেয়েকে চোখের সামনে আত্মহত্যা করতে দেখে ঠিক রাখতে পারেননি কষ্ণাদেবী। নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনিও। কৃষ্ণদেবীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রতিবেশিরা। পাশাপাশি বিপাশাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে বিপাশার মৃত্যু হয়েছে। তবে কৃষ্ণাদেবী বেঁচে গিয়েছেন। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।