নিজস্ব প্রতিনিধি,বসিরহাট: সম্প্রতি সীমান্তে হাত পা বেঁধে যুবতীর মুখপোড়া নলিকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয় ।এই ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন।ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্য মূল অভিযুক্ত এক দালালকে গ্রেফতার করল পুলিশ।মৃত যুবতী বাংলাদেশি।ধৃতকে আদালতে পেশ করে পুলিশ।উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট মহকুমা স্বরূপনগর থানার(Swarupnagar P.S.) গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুনরাজপুর গ্রাম। চলতি মাসের ২৬ শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালবেলায় একটি কাকরোল ক্ষেতে বছর উনিশের এক যুবতীর রক্তাক্ত ও পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেখা যায় দেহের গলার নলিকাটা পাশাপাশি তার মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে বাংলাদেশী পরিচয় পত্র মোবাইল ফোন নাম্বার পাওয়া যায় ।এমনকি বাংলাদেশি চশমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের গোবিন্দপুর গ্রামে।
ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিক অনুমান ওই যুবতী রাতের অন্ধকারে সীমান্ত সুরক্ষার নজরে এড়িয়ে এদেশে ঢুকেছিল, না কর্মসূত্রে বোম্বাই থাকা ওই বাংলাদেশি(Bangladeshi) রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তাহলে কি দালালের খপ্পরে পড়ল। মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয়। যুবতীর মৃত্যুর ঘটনায় ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তের আধিকারিকদের পুরো বিষয়টা স্বরূপনগর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।বাংলাদেশী পরিচয় পত্র পাওয়ার পর তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে বিএসএফ ও পুলিশ। এই ঘটনার রীতিমতো রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধিরা।ঠিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এক দালাল নাম নিছর মোল্লা বাড়ি বিথারি হাকিমপুর গ্রামে তাকে শুক্রবার ভোরে পুলিশ গ্রেফতার করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ ।
বসিরহাট পুলিশ জেলার(Bashirhat Police District) পুলিশ সুপার ডক্টর জবি থমাসকে বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনামা মহাপাত্র স্বরূপনগর থানার পুলিশ আধিকারিক প্রতাম মোদিকের নেতৃত্বে একটি বিশেষ নজরদারি টিম তৈরি করা হয় ।তারপর থেকে একের পর এক এই খুনের কিনারা হতে শুরু করে ।ওই যুবতীর পাশ থেকে মোবাইল ফোন ,পোশাক, বাংলাদেশী ঠিকানা রক্তের নমুনা ,মাটি সংগ্রহ করে বসিরহাট পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশনে গ্রুপের দলটি। মৃত যুবতী শেষবার ফোনে কার সঙ্গে কথা হয়েছিল সেই মোবাইল ফোন নাম্বার ট্র্যাক করে দালালের পরিচয় পায় জেলা প্রশাসন। তারপর তাকে গ্রেফতার করে।