নিজস্ব প্রতিনিধি: তাদের সংগঠনে রয়েছে অনেক বাংলাদেশি। অবৈধভাবে তাদেরকে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে এনেছে জঙ্গি (TERRORIST) আব্দুর রকিব। এমনই দাবি এসটিএফের (STF)। এসটিএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আলকায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সদস্য রকিব। তাকে জেরা করার সময় ধৃত নিজেই এই কথা স্বীকার করেছে। আরও জানা গিয়েছে, প্রচুর বাংলাদেশিকে ভারতে অবৈধভাবে আনার পর তাদেরকে ‘কাজ’- এর জন্য ভারতের অন্যান্য রাজ্যে পাঠিয়েছে সে।
জানা গিয়েছে, ধৃত আলকায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের শাখা সংগঠন আলকায়দা বার ই সাগর- এর সংগঠন ‘তাঞ্জিম’- এর সদস্য। তার পদের নাম ‘আনসার’। কী কাজ ছিল তার? এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলকায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টেরের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত রকিব। ওই সংগঠনের নেতা এবং সদস্যরা এলে তাদের জন্য ভুয়ো নথি, সীমান্ত পার করানো, নিরাপদে রাখা, যাতায়াতের ব্যবস্থা করত রকিব। আরও জানা গিয়েছে, অন্যতম সক্রিয় ‘সুরা’ সদস্য ছিল সে। এই ‘সুরা’রা সংগঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। সংগঠন বিস্তারের কাজ করে। সদস্যদের কে কোথায় ‘কাজ’ করবে সেই সিদ্ধান্তও নেয়। আরও জানা গিয়েছে, জঙ্গি সংগঠনে ইনফ্লুয়েন্স করার প্রশিক্ষণ দিত সে। সদস্যদের বলা হত, তাদের এলাকায় সমমনোভাবাপন্ন যুবকদের চিহ্নিত করে তাদের ‘দাওয়াত’ দেওয়ার কথা। সমস্ত পরিকল্পনাই করত রকিব।
এসটিএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রকিব ও কাজী এহসানকে জেরা চলছে। তাদের মোবাইল কল রেকর্ড ও কন্ট্যাক্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে কে এই জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত, কোন কোন রাজ্যে কতজন আছে সমস্ত কিছু জানতে চাওয়া হচ্ছে। বলা হয়েছে, জঙ্গি দমনে এই অপারেশন চলবে।
অন্য জঙ্গি কাজী এহসানের কাজ ছিল সংগঠন বিস্তার করা। জঙ্গি ও জেহাদি বই ও লিফলেট ছড়িয়ে দেওয়া, সমমনোভাবাপন্ন যুবকদের ‘মার্ক’ করে তাদের মোবাইলে জেহাদি অডিও এবং ভিডিও পাঠানো। জঙ্গি মনোভাবাপন্ন ওই যুবকদের দাওয়াতে ডাকা। আর সেই সঙ্গে আলকায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং তাদের নির্দেশ পালন করা।