নিজস্ব প্রতিনিধি: জঙ্গলমহলের(Jungalmahal) মাটিতে দাঁড়িয়ে জঙ্গলের জনতাকে তাঁদের অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখার বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রবিবার পুরুলিয়া জেলার(Purulia District) কাশিপুরে লধুড়কা চণ্ডেশ্বর শিবমন্দিরের মাঠে ছিল তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচার সভা। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতোর সমর্থনে সেই সভা করতে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা ছিল বেলা ১২টা নাগাদ। কিন্তু কপ্টার বিভ্রাটের জন্য তাঁকে এদিন দুর্গাপুর থেকে সড়কপথে কাশিপুর আসতে হয়। তাই সভা শুরুও হয় অনেকটাই দেরীতে। সেই নিয়ে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসার সময় শুনলাম, হঠাৎ করে আমাদের হেলিকপ্টারটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ভাবছিলাম কীভাবে আসব। তার পর তিনঘণ্টা জার্নি করে এলাম। দেরি হওয়ার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ তারপরেই নিজ বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা জেলার আদিবাসী মানুষদের জমির অধিকার নিয়ে বার্তা দেন। এই নয় যে, এই বার্তা মমতা প্রথমবার দিলেন। তবুও লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) আগে এই বার্তা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে জঙ্গলমহলের জনতার কাছে।
এদিন মমতা বলেন, ‘পুরুলিয়া এখন অনেক বদলে গিয়েছে। আগে তো মানুষ আসতেই ভয় পেত। ঘর থেকে মানুষ বার হতেই চাইতো না। আমরা কিনতি সেই পরিস্থিতির বদল ঘটিয়েছি। আজ দেখুন কত মানুষ আসছেন পুরুলিয়ায়। কত হোম-স্টে হয়েছে অযোধ্যায়। মাওবাদী হানায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আমি আবারও জানিয়ে দিয়ে যাচ্ছি, আদিবাসীদের জমি(Tribal Lands) কেড়ে নেওয়া যাবে না। অরণ্যের তাঁরাই বড় সম্পদ। আগে আদিবাসী স্কুল, আশ্রমে যে ছেলে-মেয়েরা থাকতেন, তাঁরা ১০০০ টাকা ভাতা পেতেন। এখন ১,৮০০ টাকা পান। তাঁদের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়। বন পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। সাঁওতালি ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য তফশিলী আদিবাসীরা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। বিদেশে গেলে ২০ লক্ষ টাকা। মণিপুরে দেখুন, মেয়েদের নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। মেয়েদের সম্মান নেই। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ গুজরাতেও তাই। সারা ভারতে তাই। একমাত্র আমার দলিত ভাই-বোনেরা সম্মান পায় বাংলায়। আদিবাসী ভাই-বোনেরা জানে, আমি ওঁদের সঙ্গে ধামসা-মাদল বাজাই। ঝুমুর নাচ করি। আদিবাসী গুণিজনদরে সম্বর্ধনা, আদিবাসী উৎসব, করম পুজো আমরা সবাইকে নিয়ে করি।’