নিজস্ব প্রতিনিধি: ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যানে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে গন্ডার গণনা। দু দিন ধরে চলা এই গণনা শেষ হয়েছে বুধবার। গন্ডার গণনার দ্বিতীয় দিনে বুধবার জঙ্গল থেকে ঘুরে আসা বন দফতরের আধিকারিকদের শরীরী ভাষায় বোঝা গেল সুখবরের ইঙ্গিত। তবে গন্ডারের সংখ্যাটা কতো দাঁড়িয়েছে তা এখনই প্রকাশ করতে নারাজ বন দফতরের কর্তারা। দুবছর অন্তর গন্ডার গণনার নিয়ম। গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ২০১৯ সালে শেষ গন্ডার গননা হয়েছিলো। নিয়ম মেনে গত বছর গন্ডার গননার পরিকল্পনা করা হলেও কোভিডের কারনে তা পিছিয়ে যায়। ২০১৯ সালের গননায় গরুমারায় গন্ডারের সংখ্যা ছিল ৫৬। মাঝের এই কয়েক বছরে গন্ডারের যে সংখ্যা বেড়েছে তার ইঙ্গিত পাচ্ছিলেন বন কর্মীরা।
বনকর্মী, ফরেস্ট গাইড, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের নিয়ে মঙ্গলবার থেকে গন্ডার গণনার কাজ শুরু হয়। বুধবার দুপুরে শেষ হয় গণনা। গণনা শেষে প্রতিটি দলের তরফে জমা দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে তথ্য মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে।
ময়নাগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু রায় বলেন, ‘দুদিন ধরে চলা গন্ডার শুমারিতে আমাদের রাখা হয়েছিল। ২০১৯ সালের পর একদিকে যেমন গন্ডার মারা গেছে ঠিক তেমনি বেশ কিছু গন্ডার জন্মেছে। শুমারিতে অংশগ্রহণ করে আমাদের ধারণা গরুমারায় গন্ডারের সংখ্যা বেড়েছে।’ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী জানান, ‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট বলছে সংখ্যা বেড়েছে। তবে তা কত জানতে প্রতিটি দলের তথ্য মিলিয়ে প্রকৃত সংখ্যা জানার চেষ্টা চলছে’।