নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের একবার দেখা গেল পুলিশের মানবিক মুখ। তারা যে সত্যি সামাজের রক্ষাকর্তা সেটা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। এক অনাথ যুবতীর বিয়ে দিয়ে বাবা-মায়ের ভূমিকা পালন করল পুলিশ। বাবাও মা-হীন যুবতীর সঙ্গে এলাকার এক যুবকের দীর্ঘদিনের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু যুবতী বিয়ের জন্য চাপ দিতেই বেঁকে বসে যুবক। এই ওই যুবতী তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। তারপরই পুলিশের প্রচেষ্টায় রীতিমতো ডিজে বাজিয়ে ওই পিতা-মাতাহীন যুবতীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় অভিযুক্ত যুবকের। এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুমেদপুর গ্রামে।
পুলিশের একান্ত উদ্যোগে রীতিমতো ঘটার কুমেদপুর পুলিশ আউটপোস্ট প্রাঙ্গণে অনাথ যুবতীর সঙ্গে ওই যুবকের বিয়ে দিল পুলিশ আধিকারিকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীর নাম সোনাদেবী সিং, বয়স ২৩। বাড়ি বিহারের কাঠিয়ার জেলায়। আর শঙ্কর সাহানী(২৫) নামে যুবতীর প্রেমিকের বাড়ি দ্বারভাঙ্গা জেলাতে।
তাঁরা দু’জনই একটি কুমেদপুর এলাকার একটি কারখানাতে শ্রমিকের কাজ করত। সোনাদেবি সিং দীর্ঘদিন আগে তার বাবা ও মাকে হারিয়েছে। ওই কারখানায় কাজ করতে করতেই শঙ্কর নামে ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুযোগে ওই যুবক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয়। এই ঘটনার কথা এলাকার সমস্ত লোকই জানত। কিন্তু বিয়ের কথা বলতেই বেঁকে বসে শঙ্কর।
এরপর দেরি না করে সোনাদেবী সিং কুমেদপুর ফাড়িতে পুলিশ আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়। যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে থানায় ধরে নিয়ে আসা হয়। তারপর হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের উদ্যোগে থানা প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা হয় বিয়ের মন্ডপ। আনা হয় ডিজে ব্যান্ড পার্টি। রীতিমতো মালাবদল করে থানা প্রাঙ্গণে আধিকারিকদের সহায়তায় ওই অনাথ যুবতীর বিয়ে দেওয়া হয় অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে। এরপর স্থানীয় একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে হিন্দু মতে ভগবানকে সাক্ষী করে বিয়ে দেওয়া হয়। আর এই নজিরবিহীন ঘটনার ফলে পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।