নিজস্ব প্রতিনিধি: মা’কে হাতুড়ি ও ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার চন্ডীদাস পল্লীতে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত ছেলের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁর বাবা। রবিবার অভিযুক্ত ছেলেকে আদালতে তোলা হবে পুলিশের তরফে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম নাম বন্দনা মন্ডল। তাঁর স্বামী স্বপন মন্ডল প্রাক্তন সেনা জওয়ান। বন্দনা ও স্বপনের ছেলে সুমন্ত মন্ডল। অভিযোগ, শনিবার বাড়িতে কেউ ছিল না। ওই যুবক এবং তাঁর মা ছিলেন বাড়িতে। ওইদিন বিকেলে মা-কে একা পেয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। এরপর ঘরের মধ্যে হাতুড়ি ও ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে বন্দনা দেবীকে হত্যা করে। মৃত বন্দনা মণ্ডলের স্বামী স্বপন মন্ডল এই ঘটনা নিয়ে জানান, শনিবার বিকেলে বাজারে গিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস পত্র কিনতে। ওইদিন রাত ৮ টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির দরজা ও জানালা সব ভিতর থেকে বন্ধ। এরপর ডকাকাডাকি করলে কোনও ফল না মেলায় অবশেষে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশকে খবর দেন তিনি। ছাতনা থানার পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বন্দনা মন্ডলের মৃতদেহ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি অভিযুক্ত ছেলে সুমন্ত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি বাড়ি থেকে হাতুড়ি ও ছুরি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে নিহত বন্দনা মণ্ডলের স্বামী স্বপন মন্ডল ছেলে সুমন্তের ফাঁসির দাবি করেছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সুমন্ত মণ্ডল সিআইএসএফ -এ কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসেন। বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে বাবা ও মায়ের ওপর ওই ছেলে অত্যাচার করত বলে পরিবারের অভিযোগ। তবে কী কারণে মা’কে খুন করল সে তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মানসিক অবসাদ থেকে এই খুনের ঘটনা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে সুমন্তকে। তাঁকে রবিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হবে।