নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রামের গৃহশিক্ষকের(Private Tutor) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এক যুবতী(Young Woman)। যদিও সেই সময় তিনি বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে বিন্দুমাত্র কালবিলম্ব করেননি। সেই সম্পর্কের জেরেই স্বামীর সঙ্গে বেঁধেছিল তাঁর নিত্যদিনের কলহ। তারই পরিণামে সেই যুবতী স্বামীকে ৩ তালাক দিতেও পিছুপা হননি। সেই তালাক শেষে গৃহশিক্ষককে বিয়েও করে নেন ওই যুবতী। কিন্তু গোল বাঁধে সেই যুবতীকে বিয়ের পর নিজের ঘরে তোলেনি সেই গৃহশিক্ষক। এমনকি বাড়িতে এই নিয়ে কিছু জানায়ওনি। এদিকে যুবতী ওই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে থাকতে চাইছিলেন। কিন্তু গৃহশিক্ষকও কিছুতেই তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাননি। শেষে যুবতী বুঝতে পারেন, গৃহশিক্ষক তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করছে। সেই কারণেই শ্বশুরবাড়ির স্বীকৃতি মিলছে না তাঁর বাড়ির বউ হিসাবে। শেষে সেই স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যেই ওই গৃহশিক্ষকের বাড়ির(In-Law’s House) সামনে এসে ধর্নায়(Dharna) বসে পড়েছেন ওই যুবতী। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ(Murshidabad District) জেলার ভরতপুর থানার সুনিয়া গ্রাম।
জানা গিয়েছে, গৃহশিক্ষকের নাম আবু সিদ্দিক। সে কান্দি কলেজের স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বয়সে সে ওই যুবতীর থেকে বেশ কয়েক বছরের ছোটও। তবুও প্রেম সে বাধা মানেনি। এখন আবুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসা ওই যুবতী জানিয়েছেন, আবুর সঙ্গে তাঁর ২ বছর ধরে প্রেম। বিয়ে করেছেন মাস ৬ হল। কান্দিতে গিয়ে তাঁরা বিয়ে করেছেন। যদিও সেই বিয়ের প্রমাণ হিসাবে কোনও নথি তিনি দেখাতে পারেননি। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি শ্বশুরবাড়িতে বধূর স্বীকৃতি পেতে চাই। স্বামীকে যতবারই বলেছি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে ও। এখন আমার সঙ্গে দেখাও করছে না। সেই জন্যই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছি।’ যদিও আবুর বাবা হারাই শেখ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি এই ঘটনার কিছুই জানি না। ছেলে আমাকে কিছুই জানায়নি। যা করেছে ছেলে নিজে করেছে। যে মহিলা অভিযোগ করছে সে জানে আমার ছেলে কোথায় আছে। আমি তাও জানি না। আইনগত যা হবে তাই হোক।’ এদিকে ওই যুবতী ধর্নায় বসতেই গা ঢাকা দিয়েছে আবু। ধর্নার কথা কানে গিয়েছে পুলিশেরও। তবে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, সমস্যার সমাধান হোক। দুজনে ঘর সংসার করুন।