নিজস্ব প্রতিনিধি: ঠিক চারবছর আগে বাঘের হানায় আতঙ্কে ঘুম উড়েছিল মেদিনীপুর বাসীর। এবার ফের ঘুম উড়েছে অজানা পশুর পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করে। লালগড় ও শালবনিতে বিগত কিছুদিন ধরেই দেখা মিলছে অজানা পশুর পায়ের ছাপ। এর মাঝেই গত রবিবার ওই এলাকায় এক গবাদি পশুর অর্ধ খাওয়া দেহ পাওয়া গিয়েছে। যাকে ঘিরে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। গ্রামবাসীরা বাঘের আতঙ্কে ভয়ে সিটিয়ে থাকলেও বন দফতরের কর্মীরা বলছেন এটা নেকড়ে। কারণ কোনও গবাদি পশুর অর্ধ খাওয়া দেহ বাঘের কাজ হতে পারে না। মূলত নেকড়েরাই করে থাকে সেই কাজ। তবুও আতঙ্ক রয়েছেই। কারণ বাঘ না নেকড়ে কারোর উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই লালগড়ের এক অজানা পশুর আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে গ্রামবাসীদের। নদীর ধারে পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে পায়ের ছাপটি কোন পশুর, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। জঙ্গলে অনেকেই কাঠ কুড়োতে যেতেন। কিন্তু এখন এই আতঙ্কে তাঁরা কাঠ কুড়োতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। সোমবার সকালে ফের নতুন করে পায়ের ছাপ উদ্ধার পাওয়া গিয়েছে। পায়ের ছাপ, মৃত ছাগলের মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। তৈরি রয়েছে বন দফতরের আধিকারিকরা। বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রস্তুতি নেবে বন দফতরের আধিকারিকরা। তৈরি রয়েছে খাঁচা ও টোপ। এর আগে ২০১৮ সালে লালগড়ে বাঘের দেখা মিলেছিল। বন দফতরের লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। যাকে ‘শিকার’ করেন এলাকাবাসীরা।