নিজস্ব প্রতিনিধি: একেই বলে শঠে শাঠ্যং। আদিবাসী ও তফশিলি ভোটেই গত লোকসভায় বঙ্গে বাজিমাত করেছিল পদ্ম শিবির। এবারেও ওই দুই সম্প্রদায়কে পাখির নিশানা করেছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। বিজেপির ওই কৌশল মোকাবিলায় তফশিলি জাতি ও আদিবাসীদের সাংগঠনিকভাবে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বও। রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তফশিলি জাতির ১০ জন এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৫ জনকে সাংগঠনিক কাজকর্মে সামিল করার নির্দেশ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। আর দিল্লি দখলের ভোটযুদ্ধে দলীয় রণকৌশল কী হবে তা চূড়ান্ত করতে শুক্রবার বিধায়ক-সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সুব্রত বক্সিরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে ১০ জন তফশিলি জাতি ও ৫ জন আদিবাসীর নামের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও সুর চড়ানোর জন্য দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। আগামী ১৫ দিন রাজ্যের প্রতিটি বুথে বুথে কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে সভা হবে। ১০০ দিনের কাজে যাঁরা টাকা পাবেন রাজ্য সরকারের কাছ থেকে তাঁদের নিয়ে সভা করতে হবে। বুথ সভাপতিরা পাড়ার চায়ের দোকানে বসে মানুষকে ১০০ দিনের বঞ্চনার কথা বোঝাবেন। বুথ ভিত্তিক সৈনিক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৯ তারিখের মধ্যে প্রতি বুথ থেকে ৪ জন করে কর্মীর নাম পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক।